থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে (Calcutta High Court)। এবার কার্যত ডেডলাইন বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে ডেডলাইন দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি (Calcutta High Court) সৌগত ভট্টাচার্য রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন, ৪ সপ্তাহের মধ্যে কাউন্সিলের বহিষ্কার সুপারিশের ওপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের এক ইন্টার্ন একটি মামলা করেছে (Calcutta High Court)। তার প্রেক্ষিতেই (Calcutta High Court) হাইকোর্টের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৯ সেপ্টেম্বর থ্রেট কালচার সহ একাধিক অভিযোগে ইন্টার্ন ডাঃ সোহম মণ্ডলকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিল। অভিযোগ, সুপারিশের ভিত্তিতে এই ইন্টার্নকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। তারপরেই সোহম মণ্ডল নামের ওই ইন্টার্ন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের নির্দেশ, সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অভিযুক্ত ইন্টার্নকে ৭ দিন আগে নোটিস দিতে হবে। সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে জানাতে হবে ইন্টার্ন পড়ুয়া এবং কলেজ কর্তৃপক্ষকে। স্বাস্থ্য সচিব সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে ইন্টার্নকে বহিষ্কার।
প্রসঙ্গত আগেই হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছিল, স্বাস্থ্য দফতরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ওপর আরজি কর, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত ডাক্তারদের বহিষ্কার সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে। বিচারপতি কৌশিক চন্দ ও পরে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত একই কথা বলেন। এবার স্বাস্থ্য সচিবকে সিদ্ধান্ত নিতে ৪ সপ্তাহের ডেডলাইন হাইকোর্টের। জুনিয়র চিকিৎসকদের হয়ে মামলায় শুনানি করছিলেন আইনজীবী কল্লোল বসু। এদিন তিনি হাইকোর্টে বলেন, র্যাগিংয়ের অভিযোগ থাকলে সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসচিবের বিবেচনার জায়গা নেই।
এর আগে আরজি কর হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ থ্রেট কালচারের অভিযোগে জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশকে সাসপেন্ড করেছিল। অভিযুক্ত জুনিয়র চিকিৎসকরা আরজি করের সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আরজি করের ওই সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। যার জেরে অভিযুক্ত জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে আগের মতো বহাল থাকে।