Canada Election2025: ট্রাম্পের হুমকি সামলাতে এপ্রিলে কানাডায় আগাম নির্বাচন

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ২৮ এপ্রিল আগাম নির্বাচনের (Canada Election2025) ঘোষণা দিয়েছেন। কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করে নেওয়ার এবং দেশটির অর্থনীতি পঙ্গূ করে দেওয়ার যে আগ্রাসী লক্ষ্য হাতে নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সেই উদ্যোগকে প্রতিহত করতেই মূলত তিনি এই নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন।আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

সম্প্রতি কানাডার মধ্যপন্থি লিবারেল পার্টির মনোনয়ন পেয়ে জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন কার্নি। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান কখনো প্রথাগত নির্বাচনের মুখোমুখি হননি।

অক্টোবরে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও কার্নি তা কয়েক মাস এগিয়ে এনেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি স্পষ্ট করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে আসা বাণিজ্য ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা সংশ্লিষ্ট হুমকির মোকাবিলাই হবে নির্বাচনী (Canada Election2025) প্রচারণার মূল বিষয়।

জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেন, ‘আমি এই মাত্র গভর্নর জেনারেলকে অনুরোধ করেছি যাতে তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ২৮ এপ্রিল নির্বাচনের আহ্বান জানান। তিনি এতে সম্মতি দিয়েছেন।’

        নির্বাচনের পটভূমি:

  • রাজনৈতিক অস্থিরতা: কানাডার রাজনীতিতে সম্প্রতি অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, যার প্রধান কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক টানাপোড়েন।
  • মার্কিন হুমকি: ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানাডাকে ৫১তম রাজ্যে পরিণত করার হুমকি, দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, কানাডার সরকার একটি শক্তিশালী জনমত তৈরি করতে চাইছে।
  • আকস্মিক ঘোষণা: কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি, পূর্বনির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছেন।

       প্রধান ইস্যু:

  • যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক: এই নির্বাচনের প্রধান ইস্যু হলো যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কানাডার ভবিষ্যৎ সম্পর্ক। নতুন সরকার কীভাবে ট্রাম্পের হুমকি মোকাবিলা করবে, তা দেখার বিষয়।
  • অর্থনৈতিক নীতি: যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির কারণে কানাডার অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েছে। নতুন সরকার কোন অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করে, তা নির্বাচনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
  • অভ্যন্তরীণ নীতি: স্বাস্থ্যসেবা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার – এই বিষয়গুলিও নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

         রাজনৈতিক দলসমূহ:

  • লিবারেল পার্টি: মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন এই দল বর্তমান ক্ষমতাসীন দল। তারা যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
  • কনজারভেটিভ পার্টি: এই দলটি অর্থনৈতিক নীতি এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবে।
  • নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি): এই দলটি সামাজিক ন্যায়বিচার এবং শ্রমিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে।

        নির্বাচনের প্রভাব:

  • কানাডা-মার্কিন সম্পর্ক: এই নির্বাচনের ফলাফল দুই দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
  • আন্তর্জাতিক সম্পর্ক: কানাডার নতুন সরকার অন্যান্য দেশের সাথে তাদের সম্পর্ক পর্যালোচনা করবে, যা বিশ্ব রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।
  • অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা: এই নির্বাচন কানাডার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।

      এই নির্বাচনের মাধ্যমে কানাডার জনগণ তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।