বিয়ের মাত্র পাঁচ মাস হয়েছিল, দাম্পত্যের সুখ কী, তা ঠিকভাবে হয়তো অনুভবও করতে পারেননি, তার আগেই বিধবা হন স্মৃতি সিং। সিয়াচেনের সেনা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে সহকর্মীদের বাঁচাতে গিয়েই শহিদ হন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং(Captain Angshuman Singh)। সম্প্রতিই তাঁকে কীর্তি চক্রে সম্মানিত করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সম্মান গ্রহণ করেন তাঁর স্ত্রী স্মৃতি সিং(smriti singh) ও মা মঞ্জু দেবী। তবে অংশুমানের অবর্তমানে যাবতীয় কিছুতে স্ত্রীর অধিকার নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেনার এই নিয়মে পরিবর্তন চেয়েছেন শহিদ অংশুমানের মা-বাবা। এবার পুত্রবধূর সম্পর্কে বিস্ফোরক সব তথ্য সামনে আনলেন মঞ্জু দেবী।
এ বার পুত্রবধূর বিরুদ্ধেই পুত্রের মরণোত্তর সম্মান ‘কীর্তি চক্র’, পুত্রের ছবি, নথি এবং ক্যাপ্টেনের যাবতীয় স্মৃতি সঙ্গে নিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ তুললেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ইন্ডিয়া টিভি টুডে-কে প্রয়াত ক্যাপ্টেনের বাবা রবি প্রতাপ সিংহ জানিয়েছেন, পুত্রবধূ তাঁদের বাড়ি ছেড়ে শুধু চলে যাননি, নিজের স্থানীয় ঠিকানাও বদলে নিয়েছেন।
তাঁর কথায়, “অংশুমানের (Captain Angshuman Singh) সম্মতিতেই স্মৃতির সঙ্গে ওর বিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের পর পর নয়ডায় আমার মেয়ের বাড়িতে থাকছিল পুত্রবধূ। ২০২৩ সালের ১৯ জুলাই যখন আমরা অংশুমানের মৃত্যুর খবর পেলাম, ওদের লখনউয়ে আসতে বলেছিলাম। ছেলের শেষকৃত্য করেছিলাম গোরক্ষপুরে। কিন্তু সমস্ত আচার-রীতি শেষ হওয়ার পরই গুরদাসপুরে ফিরে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে স্মৃতি।” ক্যাপ্টেনের বাবা আরও জানিয়েছেন, এর পরই নয়ডায় বাপের বাড়িতে চলে যান পূত্রবধূ। সেখানে যাওয়ার সময় অংশুমানের ছবি, যাবতীয় নথি, পোশাক— সব কিছু সঙ্গে নিয়ে যান। তাঁর আরও অভিযোগ, রাষ্ট্রপতির দেওয়া পুত্রের মরণোত্তর সম্মানও নিয়ে গিয়েছেন পুত্রবধূ স্মৃতি।
মঞ্জু সিং আরও জানান, ছেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে বাড়িতে পুজোপাঠের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে স্ত্রীর উপস্থিতি আবশ্যক ছিল, তাই তিনি পুত্রবধূকে ডেকেছিলেন। অন্তত একদিনের জন্য আসতে বলেছিলেন। তাঁকে স্মৃতি বলেছিল, “মা আমি আসব”। কিন্তু এরপরই নাকি তাঁর নম্বর ব্লক করে দেয়। তিনি আরও বলেন, “যখন কীর্তি সম্মান চক্র ঘোষণা করা হয়, তখন স্মৃতি আমায় ফোন করে। এমনকী, আমরা যখন সম্মান নিতে গিয়েছিলাম, আমার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি।”