নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ ভরসন্ধ্যাতে বাইপাসের ধারে বিধ্বংসী আগুন। মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ ‘পূর্বাশা’ আবাসন নামে এক বহুতল লাগোয়া বস্তিতে আচমকাই বিধ্বংসী আগুন ধরে যায়। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।কিন্তু শীতের ঠাণ্ডা হাওয়ায় আগুনের তীব্রতা আরও বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি অনেকটাই প্রতিকূল হয়ে ওঠে। খবর পাঠানো হয় দমকলে। সঙ্গে সঙ্গে দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে আরও দুটি ইঞ্জিন যায়। কিন্তু আগুন দাউদাউ করে ছড়িয়ে পড়ায় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে একে একে দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন সেখানে পৌঁছে কাজে হাত লাগায়। পরিস্থিতির ভয়াবহতা জেনেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। একে একে সেখানে পৌঁছয় নারকেলডাঙা, মুচিপাড়া-সহ চারটি থানার পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
যদিও ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। যতক্ষণ না পর্যন্ত এই আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষতির হিসেব বোঝা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তবে ৩০ থেকে ৩৫ কিছু বলেছে বলে তিনি আন্দাজ করছেন যতক্ষণ না পর্যন্ত কারেন্ট আসে তখন পর্যন্ত বোঝা সম্ভব নয় বলে তিনি জানিয়েছেন তবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের সবাইকে কলকাতা পৌরসভা থেকে সাহায্য করা হবে বলে জানালেন ফিরহাদ হাকিম। তবে শর্ট সার্কিট থেকে এই সমস্যা হয়েছে বলে মন্তব্য করলেন ফিরহাদ হাকিম।