আর সিবিআই কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে (Sujay Krishna Bhadra) নিজেদের হেফাজতে চাইল না। আদালতে শনিবার সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের (Sujay Krishna Bhadra) মামলা ওঠে। সেখানে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, তারা আর তাঁকে (Sujay Krishna Bhadra) নিজেদের হেফাজতে চাইছেন না। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতের দিকে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে (Sujay Krishna Bhadra) নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। শনিবারই সেই মেয়াদ শেষ হয়।
সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। খেতে চাইছেন না ওষুধও। সেই কারণে তাঁর রক্তে শর্করার সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন। সিবিআইয়ের তরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করেন। অন্যদিকে, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের জামিনের জন্য জোর সওয়াল করেন। তবে আদালতে তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে ২০২০ সালেরর ৩০মে গ্রেফতার করা হয়। তারপর বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ছিলেন। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছে। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতারের সময় তীব্র রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে। নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতারের পরেই তাঁদের কেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। এসএসকেএমে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে শিশুদের জন্য বরাদ্দ বেডে ভর্তি করা হয়। সেই নিয়েও একাধিক প্রশ্ন ওঠে। যদিও এই দেড় বছরের মধ্যে তাঁর হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার করা হয়। সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর নমুনা পরীক্ষা করা নিয়েও একাধিক জটিলতার সৃষ্টি হয়।
ইডির গ্রেফতারির পরেও জামিন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে ওই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তবে রায়দান এখন স্থগিত রয়েছে। এসবের মধ্যে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন। ইডির পর সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ দুর্নীতি একের পর এক অভিযুক্ত জামিন পেয়েছেন। প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায় জামিন পান। তারপর শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় জামিন পান। অন্যদিকে, জামিন পেয়ে গিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যাও।