সারা দেশ জুড়ে বিদেশি নাগরিকদের ভুয়ো আঁধার কার্ড সহ নানা ভুয়ো নথির সাহায্যে এদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার একাধিক অভিযোগ উঠছে (CBI)। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এক যোগে তদন্ত করছেন বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা (CBI)। এ রাজ্যে নাগরিকত্ব দিতে সক্রিয় রাজ্যের শাসকদল বলে বার বার বিরোধীরা অভিযোগ করছেন (CBI)। কিন্তু রাজ্যের শাসকদল বার বার সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে (CBI)। এবার সিবিআইয়ের নজরে তৃণমূল পরিচালিত মাল পৌরসভা (CBI)।
সম্প্রতি দিল্লি থেকে ছয় সন্দেহ ভাজন আটক করেছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের সন্দেহ এই ছয় জন আফগানিস্তানের নাগরিক। ভুয়ো নথির সাহায্যে তারা এদেশের নাগরিক হয়েছেন। দেখা যায়, ধৃতরা সকলেই মাল পৌরসভায় অধীনে তাঁদের জন্মের নথি দিয়েছেন। সিবিআই জানিয়েছে, ওই নথি তৈরি করে তারা পাসপোর্ট তৈরি করেছে। সিবিআই এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসে। মাল পৌরসভাকে প্রথমে গত নভেম্বর মাসে একটি নোটিস পাঠায়। কিন্তু সেই নোটিসের উত্তর এখনও সিবিআই দফতরে পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার পরে সিবিআই ফের ৫ ডিসেম্বর মাল পৌরসভাকে নোটিস পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নোটিসের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, কীসের ভিত্তিতে ধৃতদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্মের নথি ও মৃত্যু পর সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। মাল পৌরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা বলেন, “প্রথম যে নোটিসের কথা বলা হচ্ছে, তা আমরা পাইনি। তবে গতকাল দ্বিতীয় নোটিসটি আমরা পেয়েছি।যে নথি জমা পড়ে তার ভিত্তিতেই জন্ম মৃত্যুর শংসাপত্র দেওয়া হয়। বাকিটা সংস্থা খতিয়ে দেখুক।” পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, “ভোটের রাজনীতি আমরা করি না।”
মালবাজার পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান উৎপল ভাদুড়ী বলেন, “আমরা সিবিআইকে যাবতীয় নথি দ্রুত পাঠাব। কিন্তু, কারা কীভাবে এসব পেল তা আমরা কীভাবে বলব। পৌরসভায় যারা এই কাজ করেন তাঁদের কাছে রিপোর্ট চেয়েছি। দেখা যাক। বাকিটা তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখুন।” এই প্রসঙ্গে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ যে অমূলক নয়, তা এই নোটিসের মাধ্যমে প্রমাণিত বলে বিজেপি দাবি করেছে।