শুধু আরজি কর নয়, এই দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ (Medical College) ও হাসপাতালে। আরজি করে দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে এমনই ইঙ্গিত দিলেন সিবিআই। আরজি করের (Medical College) প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ রায়ের ঘনিষ্ঠ বিপ্লব সিংহ ও সুমন হাজরার সংস্থা রাজ্যের বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে ওষুধ ও মেডিক্যাল সামগ্রী সরবরাহ করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই বরাতেও (Medical College) দুর্নীতি থাকতে পারে বলে সিবিআই মনে করছে। সেখানেও কি দুর্নীতির সঙ্গে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসকদের যোগ থাকতে পারে? একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। মীণ হাসপাতাল এবং আরও বেশ কয়েকটি ছোট বড় সরকারি হাসপাতালেও (Medical College) বিপ্লব ও সুমনের রমরমা লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে, আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি বর্তমানে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডেপুটি সুপার। তিনিও একাধিকবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। ২০২০ সালে কোভিডের সময় থেকেই নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। কোভিড শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই তাঁদের কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বরখাস্ত হওয়া নিরাপত্তা কর্মীরা বার বার স্বাস্থ্য দফতরে জানিয়েছেন, কোনও সুরাহা হয়নি। যদিও তাঁরা আশায় রয়েছেন, ফের শূন্যপদ তৈরি হলে তাঁদের নিয়োগ করা হতে পারে। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বর্তমান নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রেও বেনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের ১০০ মিটারে থাকা বেসরকারি হাসপাতালের এক ঠিকাদারকে বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে এই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে বর্ধমানে এই ঠিকাদারকে ব্ল্যাকলিস্ট করা হয়েছে। তারপরেও সেই ঠিকাদার কীভাবে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে কাজের বরাত পেল।
ফের আরও একবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছেন আখতার আলি। তিনি জানিয়েছেন, যাঁরা দেড় বা ২ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁরাই সব স্বীকার করেছেন। সেই ফুটেজও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে । এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হাত রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। এবার গর্জে উঠলেন আখতার আলি। তিনি বলেন, আর কোনওভাবেই আর একটা সন্দীপ ঘোষ হতে দেওয়া যায় না। আর একটা আরজি কর হতে দেওয়া যায় না। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ রয়েছে, তার সমস্ত তদন্ত করা উচিৎ।