সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE Board) আগামী বছরগুলিতে শিক্ষার্থীদের তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পরীক্ষা দেওয়ার জন্য একটি নতুন বিকল্প দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। এই স্কিমের অধীনে, শিক্ষার্থীরা তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে পরীক্ষার অসুবিধার স্তর নির্বাচন করতে সক্ষম হবে।
এই পদক্ষেপটি জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) 2020-এর অধীনে নেওয়া হচ্ছে, যেখানে শিক্ষার্থীদের তাদের জ্ঞান এবং সামর্থ্য অনুযায়ী দুটি স্তরে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্যাটার্ন ইতিমধ্যে গণিতে প্রয়োগ করা হয়েছে বর্তমানে, এই নতুন পরীক্ষার প্যাটার্ন ইতিমধ্যে গণিত বিষয়ে প্রয়োগ করা হয়েছে, যা ক্লাস ১০ বোর্ড পরীক্ষার অংশ। সিবিএসই (CBSE Board) সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে এই উদ্যোগটি চালু করা হচ্ছে, যাতে তাদের প্রকৃত যোগ্যতা সঠিকভাবে পরিমাপ করা যায়। প্যাটার্নটি বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞানেও প্রযোজ্য হবে, সিবিএসই বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞানের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতেও এই প্যাটার্নটি প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করছে।
এই পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হল ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া, যাতে তারা তাদের বিষয়ে ভালো করতে পারে। এনসিইআরটি পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনবে তবে এই প্রস্তাবটি বাস্তবায়নে আরেকটি চ্যালেঞ্জ আসছে। দুই স্তরের পরীক্ষার সিলেবাসও পরিবর্তন করতে হবে। এই কাজটি করবে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি)।
NCERT-কে পাঠ্যপুস্তকগুলিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে হবে যাতে উভয় স্তরের জন্য উপযুক্ত বিষয়বস্তু এবং বিষয় নির্বাচন করা যায়। আরও প্রক্রিয়া: এই প্রস্তাবটি এখনও CBSE-এর নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে যায় নি এবং এটি শুধুমাত্র শীর্ষ সংস্থা থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরেই বাস্তবায়িত হতে পারে। এটি অনুমোদিত হলে, শিক্ষার্থীরা তাদের জন্য উপযুক্ত অসুবিধার স্তরের উপর ভিত্তি করে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে, যা তাদের যোগ্যতা এবং অধ্যয়নের ক্ষেত্রে আরও ভাল সুযোগ নিশ্চিত করবে। এই পদক্ষেপটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় স্বস্তি হতে পারে, কারণ তারা এখন তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী অসুবিধার স্তর বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবে, যা পরীক্ষার চাপ কমিয়ে দেবে এবং তাদের প্রকৃত ক্ষমতা আরও ভালভাবে প্রদর্শন করতে সক্ষম করবে।