খবরএইসময়,নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে দাপট দেখিয়ে ক্রমশ বিধ্বংসী হয়ে ওঠা করোনা ভাইরাস রুখতে গত ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনতার উদ্দেশে ভাষণে লকডাউন চালুর কথা ঘোষণা করেন। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে লকডাউন জারি করার ঘোষণা হলেও পরে তা আরও বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। আপাতত সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩ মে পর্যন্ত গোটা দেশে লকডাউন জারি থাকবে।আর এই লকডাউন জারি হওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশীয় অর্থনীতি। এমতবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়াও আরও কিছু কিছু জিনিসের দোকান খোলার ক্ষেত্রে ছাড় দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আরও কিছুটা শিথিল হল লকডাউন। পুর ও পুরনিগম এলাকার বাইরে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে দোকান খোলার অনুমতি দিল কেন্দ্র। তবে সেক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলতে হবে। বাধ্যতামূলকভাবে পরতে হবে মাস্ক।শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, গ্রামীণ এলাকায় রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ‘শপস অ্যান্ড এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট’-এ নথিভুক্ত সব দোকান খোলা রাখা যাবে। সেই তালিকায় রয়েছে আবাসন ও বাজারের দোকানও। অর্থাৎ শপিং মলের দোকান ছাড়া সব দোকান খোলা যাবে। শর্তসাপেক্ষে শহরাঞ্চলেও দোকান খোলায় সবুজসংকেত দিয়েছে কেন্দ্র। ‘শপস অ্যান্ড এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট’-এ নথিভুক্ত পাড়া, আবাসন ও শপিং মলের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন দোকান খোলা যাবে। তবে বাজারের দোকান ও শপিং মল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।দোকান খোলার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করলেও সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যে দোকানগুলি খোলা থাকবে, তাতে ৫০ শতাংশের বেশি কর্মী থাকতে পারবেন না। তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। একইসঙ্গে মাস্ক পরতে হবে।
তবে হটস্পট ও সংক্রামক এলাকায় কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ সেই এলাকাগুলিতে সব দোকান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত দোকান খোলা যাবে। পাশাপাশি, ই-কর্মাস সংস্থাগুলি শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ডেলিভারি দিতে পারবে। বন্ধ থাকবে মদের দোকান।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক শনিবার জানিয়েছে, ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪,৫০৬ জনে, আর ওই রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৭৭৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবে নতুন করে COVID- 19 এ আক্রান্ত হয়েছেন দেশের ১৪২৯ জন মানুষ এবং আরও ৫৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।