রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) মোটেই ভালো নয়। গত কয়েকদিন বৃষ্টি না হওয়ার জন্য দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির (Flood Situation) কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির (Flood Situation) অবস্থা ভয়ঙ্কর। উত্তরবঙ্গে এখনও তিস্তার জল বিপদসীমার (Flood Situation) ওপর দিয়ে বইছে। এই পরিস্থিতিতে বন্যা মোকাবিলায় (Flood Situation) সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল কেন্দ্র। ৪৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আরও ১৩টি রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ১৪টি রাজ্যের জন্য ৫৮৫৮.৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই খবর জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করে বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্যগুলির সবসময় পাশে রয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ১৪টি বন্যা বিধ্বস্ত রাজ্যের জন্য ৫৮৫৮.৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। মহারাষ্ট্রের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৪৯২ কোটি টাকা। অন্ধ্রপ্রদেশ পেয়েছে ১০৩৬ কোটি টাকা। বাংলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪৬৮ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, পুজোর প্রতিটি দিন রাজ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মহালয়া থেকেই উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নেপালের থেকে প্রচুর জল ছাড়া হয়েছে। যার জেরে নতুন করে বাংলা ডুবতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার শ্রীভূমির পুজোর উদ্বোধন করতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ফের একবার রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করে করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ডিভিসি না জানিয়ে জল ছেড়েছে। যার জেরে পশ্চিমবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির জন্য তিনি নেপালের জল ছাড়াকে দায়ী করেন। তিনি আশঙ্কা করেন, পুজোর মধ্যেই উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা নেপালের জলে ভাসতে চলেছে। নেপালের জলের তোড়ে বিহারের বন্যা হবেই। তার প্রভাব থেকে বাংলা বাঁচতে পারবে না বলেও তিনি সাবধান করে দেন।