ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) টুর্নামেন্টে ভবিষ্যতের ওপর মেঘ ঘনিয়ে আসছে। একদিকে বিসিসিআই তাদের দলকে সীমান্তের ওপারে পাঠাতে অস্বীকার করেছে, অন্যদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে যে তারা পুরো টুর্নামেন্ট পাকিস্তানে আয়োজন করতে চায়। তাছাড়া, পিসিবি হাইব্রিড মডেল মেনে প্রস্তুত নয়।
এদিকে, আইসিসি ২৯ নভেম্বর অর্থাৎ আজ একটি সভা আহ্বান করেছে। বৈঠকে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে? ভার্চুয়াল বৈঠকে আইসিসির ১২ পূর্ণ সদস্য এবং ৩ সহযোগী সদস্য উপস্থিত থাকবে। আইসিসি-র চেয়ারম্যান সহ ১৬ জন ভোটদানকারী সদস্য রয়েছেন। বৈঠকে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা।
হাইব্রিড মডেল
পিসিবি হাইব্রিড মডেল প্রত্যাখ্যান করার কথা বলে আসছে, কিন্তু গত কয়েকদিনে হাইব্রিড মডেল নিয়ে আলোচনা তীব্র হয়েছে। হাইব্রিড মডেল বাস্তবায়িত হলে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে ভারতের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে যে হাইব্রিড মডেলটি গ্রহণ করা হবে। কারণ, এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy) আয়োজনের দায়িত্ব পাকিস্তানের হাত থেকে ফসকে যাবে না। অন্যদিকে ভারতকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও চিন্তা করতে হবে না। তবে এখনও কিছুই স্পষ্ট নয়, তাই বৈঠকে অন্যান্য বিকল্পও বিবেচনা করা হবে।
পাকিস্তানের মাটিতেই ভারত-পাক ম্যাচ
পাকিস্তান দাবি করতে পারে যে, যখনই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হবে, পাকিস্তানেই খেলা উচিত। পিসিবি দাবি করতে পারে যে, ফাইনালও পাকিস্তানেই খেলা উচিত। তবে, যেহেতু ভারতীয় দল স্পষ্টভাবে সীমান্ত অতিক্রম করতে অস্বীকার করেছে, তাই পাকিস্তানে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের বিকল্প বাতিল হতে পারে।
পাকিস্তানের বাইরে গোটা টুর্নামেন্ট
পাকিস্তান যদি কোনও ক্ষেত্রে হাইব্রিড মডেল গ্রহণ না করে, তাহলে আইসিসি পাকিস্তান থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy) আয়োজন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে পুরো টুর্নামেন্টটি পাকিস্তানের বাইরে স্থানান্তরিত হতে পারে। কিছু গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।