Champions Tropy: স্টিভ স্মিথের অধিনায়কত্বেই কেন এমনটা হয়? সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে যেতে পারে অস্ট্রেলিয়া

২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (Champions Tropy) অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচ বৃষ্টির কারণে বাতিল হওয়ার পর, গ্রুপ বি-এর সেমিফাইনালের দৌড় এখন আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ এই গ্রুপের সব দলের জন্যই আশা বেঁচে আছে। তবে প্রশ্ন হল স্টিভ স্মিথের সঙ্গে কেন এমনটা বেশি হয়? ম্যাচ বাতিল হওয়ার কারণে অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনালে ওঠার রাস্তায় আশঙ্কার মেঘ জমেছে। এখন পরিস্থিতি এমন যে অস্ট্রেলিয়া দলও সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে যেতে পারে। আমাদের এই কথা বলার পিছনের কারণ হল সেই সমীকরণ, যা যদি স্মিথ অ্যান্ড কোম্পানির মতে না হয়, তাহলে ব্যাপারটা সত্যিই এলোমেলো হয়ে যেতে পারে।

১৫ বছরে ৪ ম্যাচ বাতিল, ৩ বার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ

গত ১৫ বছরে চতুর্থবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (Champions Tropy) এমন দেখা গেছে, যখন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ বাতিল হয়েছে। বড় কথা হল, এই চারবারের মধ্যে তিনবার অজি দলের অধিনায়ক ছিলেন স্টিভ স্মিথ। বারংবার স্মিথের সঙ্গেই কেন ঘটে? তবে এই এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতটা গুরুত্বপূর্ণ এই সমাধান খুঁজে বের করা যে অস্ট্রেলিয়া দল কীভাবে সেমিফাইনালে উঠবে?

সমীকরণ কি বলে?

২৫ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে ম্যাচ বাতিল হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়াকে ১ পয়েন্ট ভাগ করতে হয়েছে। ওই ম্যাচের পর ২টি করে ম্যাচ খেলে পয়েন্ট টেবিলে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার রয়েছে ৩ পয়েন্ট। তবে ভালো রান রেটের ভিত্তিতে এক নম্বরে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।

ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের জয়ের খাতা এখনো খোলেনি। ১-১ ম্যাচ খেলে তাদের পয়েন্ট ০-০। তবে ভালো ব্যাপার হলো এই দুই দলেরই ২টি করে ম্যাচ (Champions Tropy) বাকি রয়েছে। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ১টি করে ম্যাচ খেলতে হবে। ইংল্যান্ডকে পরের দুটি ম্যাচ খেলতে হবে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ইংল্যান্ড ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে আফগানিস্তানকে।

ইংল্যান্ড-আফগানিস্তানের জন্য ডু অর ডাই ম্যাচ

ইংল্যান্ড এবং আফগানিস্তান ২৬ ফেব্রুয়ারী মুখোমুখি হবে, যে দলই হেরে যাবে সে সেমিফাইনালের (Champions Tropy) দৌড় থেকে ছিটকে যাবে। ইংল্যান্ড যদি আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা উভয়কেই হারায় তাহলে সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। আফগানিস্তানের ক্ষেত্রেও ঠিক একই ঘটনা ঘটবে। তবে যেহেতু এই দুই দল প্রথমবারের মতো একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবে, সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন অবশ্যই তাদের একজনের দ্বারাই পূরণ হতে পারে।

অস্ট্রেলিয়াকে সমস্যায় ফেলতে পারে আফগানিস্তান

এখন আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন সমীকরণ কীভাবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যেতে পারে? সমস্যা ত্রইরি হতে পারে এভাবে, যদি আগের ম্যাচের পর আফগানিস্তানও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার পরের ম্যাচে জিততে পারে। অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর আগে আফগানিস্তান যদি ইংল্যান্ডকে হারায়, তাহলে সেমিফাইনালেও (Champions Tropy) উঠতে পারে, এমনটাই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন শোয়েব আখতার, আকাশ চোপড়ার মতো ক্রিকেটাররা।

দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনালে ওঠার সবচেয়ে ভালো উপায় হল তাদের বাকি ১টি করে ম্যাচ জেতা। কিন্তু, তা হল না, দুই দলই হেরে গেল। আর যদি বিষ্যটা আটকে থাকল নেট রান রেটের উপর, তাহলে সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়াকেও টুর্নামেন্ট থেকে বেড়িয়ে যেতে হবে, কারণ সেক্ষেত্রে পয়েন্ট টেবিলে তাদের চেয়ে এগিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা।