বড় রায় ঘোষণা করল চুঁচুড়া আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক (Death Sentence)। চার বছর আগের একটি ঘটনায় ২৫ নভেম্বর সাত জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত (Death Sentence)। এদিন আদালত সাজা শোনায় (Death Sentence)। সাজা শোনান বিচারক শিব শঙ্কর ঘোষ। তিনি সাত জনকে ফাঁসির সাজা শোনান (Death Sentence)।
২০২০ সালের ১১ অক্টোবর চুঁচুড়া শহরের জনবহুল এলাকা রায়ের-বেড় থেকে ২২ বছরের বিষ্ণু মালকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় বিশাল দাস ও তার অনুগামীরা। ওই রাতের চাঁপাদানি এলাকায় বিষ্ণুকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ ওঠে বিশাল ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। বিষ্ণুর দেহ থেকে মাথা আলাদা করে দেওয়া হয়। তারপর তা প্যাকেটে ভরে শেওড়াফুলি ও বৈদ্যবাটির বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনায় কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য জুড়ে।
জানা যায়, হুগলীর পুলিশ প্রথমে বিশালের সাগরেদদের ধরে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের চোটে ভেঙে পড়ে বিশালের সাগরেদরা। বিষ্ণুকে খুন করা, তার দেহ টুকরো করে কাটার কথা স্বীকার করে। এমনকী পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, শেওড়াফুলি ও বৈদ্যবাটির মধ্যে কোথায় কোথায় তার দেহ ফেলা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী পুলিশ বিষ্ণুর দেহের সমস্ত অংশ খুঁজতে সক্ষম হলেও তার মাথা খুঁজতে পারেনি। অন্যদিকে, ঘটনার নৃশংসতায় সারা রাজ্য কেঁপে ওঠে। সেই সময় যদিও পুলিশের হেফাজতে আসেনি বিশাল।
তবে সেই বছরের ৩ নভেম্বর পাড়ার লোকেরা বিশালকে দেখতে পায়। পাড়ার লোকেদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে বিশাল। পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিশাল পালাতে পারে না। পুলিশ বিশালকে গ্রেফতার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে বিশাল জানায়, বিষ্ণুর মাথা কোথায় রেখেছে। পুলিশ সেই অনুযায়ী বিষ্ণুর মাথা উদ্ধার করে। বৈদ্যবাটি খালের ধার থেকে প্লাস্টিকে মোড়ানো অবস্থায় মুন্ডু উদ্ধার করে পুলিশ। হাড়হিম করা এই ঘটনায় ততক্ষণে তোলপাড় চলছে সংবাদমাধ্যমে।
ঘটনায় বিশাল দাস ছাড়াও আরও ছয় জনের ফাঁসির সাজা হয়েছে। সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “৩৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। বিষ্ণু একটা মেয়েকে ভালোবাসত। সেই প্রেমের কারণেই এই ঘটনা। মুরগি কাটার চপার দিয়ে টুকরো করে কাটে দেহ। এটা একেবারে বিরলতম ঘটনা। ৭ জনের ফাঁসির সাজা হয়েছে। আর বাকি একজনের সাত বছরের জেল হয়েছে।”