ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন নিশ্চিত করেছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি চাঁদ অধ্যয়নের জন্য চন্দ্রযান-৫ (Chandrayaan-5) মিশনের অনুমোদন দিয়েছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য তাকে সংবর্ধনা জানাতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখেন। নারায়ণন আরও বলেন, চন্দ্রযান-৩ মিশনে ২৫ কেজি ওজনের রোভার ‘প্রয়াগযান’ বহন করা হয়েছিল, কিন্তু চন্দ্রযান-৫ মিশনে চাঁদের পৃষ্ঠ অধ্যয়নের জন্য ২৫০ কেজি ওজনের একটি রোভার বহন করা হবে।
চন্দ্রযান মিশনের মধ্যে রয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠের অধ্যয়ন (Chandrayaan-5)। ২০০৮ সালে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা চন্দ্রযান-১-এ চাঁদের রাসায়নিক, খনিজ এবং আলোক-ভূতাত্ত্বিক ম্যাপিং নেওয়া হয়েছিল। চন্দ্রযান-২ মিশন (২০১৯) ৯৮ শতাংশ সফল হয়েছিল কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে মিশনের মাত্র দুই শতাংশ অর্জন করা সম্ভব হয়নি।
#WATCH | Chennai, Tamil Nadu | On astronauts Butch Wilmore & Sunita Williams finally set to return to earth after over 9 months, ISRO Chairman Dr V Narayanan says, “She will be returning very safely back…” pic.twitter.com/GD8qxi9yFH
— ANI (@ANI) March 16, 2025
রবিবার মহাকাশ বিভাগের সচিব নারায়ণন বলেন, চন্দ্রযান-২-এর অনবোর্ড হাই রেজোলিউশন ক্যামেরা শত শত ছবি পাঠাচ্ছে।
চন্দ্রযান-৩ মিশন হল চন্দ্রযান-২ এর পরবর্তী একটি মিশন যা চন্দ্রপৃষ্ঠে নিরাপদ অবতরণ এবং ঘোরাঘুরির ক্ষেত্রে এন্ড-টু-এন্ড ক্ষমতা প্রদর্শন করবে।
“মাত্র তিন দিন আগে আমরা চন্দ্রযান-৫ মিশনের অনুমোদন পেয়েছি। আমরা জাপানের সাথে যৌথভাবে এটি করব,” নারায়ণন বলেন।
২০২৭ সালে উৎক্ষেপণ করা হতে পারে চন্দ্রযান-৪ মিশনের লক্ষ্য চাঁদ থেকে সংগৃহীত নমুনা আনা।
ইসরোর ভবিষ্যৎ প্রকল্প সম্পর্কে নারায়ণন বলেন, গগনযান সহ বিভিন্ন অভিযানের পাশাপাশি ভারতের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন – ভারতীয় মহাকাশ স্টেশন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও চলছে।