AAIB-এর রিপোর্টের পর, ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA) একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। DGCA জানিয়েছে যে দেশে পরিচালিত সমস্ত ফ্লাইট পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক হবে। বিমানের ইঞ্জিন সুইচ জ্বালানি ব্যবস্থা পরীক্ষা করা হবে। এর সাথে, আরও বলা হয়েছে যে সমস্ত বিমানের পরিদর্শন ২১ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
DGCA কেন এই নির্দেশ দিল?
১২ জুন, ২০২৫ তারিখে আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার বিষয়ে বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরোর (AAIB) প্রাথমিক প্রতিবেদনের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। DGCA বিমান সংস্থাগুলিকে বোয়িং ৭৮৭, ৭৩৭ বিমানের জ্বালানি সুইচ লকিং সিস্টেম তদন্ত করতে বলেছে। DGCA জানিয়েছে যে বিমান সংস্থাগুলিকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে বোয়িং ৭৮৭, ৭৩৭ বিমানের জ্বালানি সুইচ লকিং সিস্টেমের তদন্ত শেষ করতে হবে।
DGCA-এর নির্দেশ কোন বিমানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
বোয়িং ৭১৭-২০০
৭৩৭ সিরিজ (৭০০, ৭০০সি, ৮০০, ৯০০ইআর, ৭৩৭-৮, ৭৩৭-৯)
৭৪৭ সিরিজ (৪০০, ৪০০ডি, ৪০০এফ, ৮, ৮এফ)
৭৫৭ সিরিজ (২০০, ২০০সিবি, ২০০পিএফ, ৩০০)
৭৬৭ সিরিজ (২০০, ৩০০, ৩০০F, ৪০০ER, ২C)
৭৮৭ সিরিজ (৮, ৯, ১০)
MD-11 এবং MD-11F
এমডি-৯০-৩০
AAIB রিপোর্ট
AAIB-এর রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে যে বিধ্বস্ত বিমানের উভয় ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ নিয়ন্ত্রণকারী উভয় জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচ “রান” থেকে “কাটঅফ” অবস্থানে (অন থেকে অফ) সরে গেছে। সম্ভবত এটিই বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ।
ডিজিসিএ জানিয়েছে যে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন অনুসারে, এই বিমানগুলির জ্বালানি সুইচ লকিং সিস্টেমে একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি পাওয়া গেছে, যা নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।