ছত্তিশগড়ের বস্তার অঞ্চলে নকশাল বিরোধী (Chhattisgarh Encounter) অভিযান চলছে। এই অভিযানের আওতায় নারায়ণপুর ও বিজাপুর পুলিশ শুক্রবারের নকশাল বিরোধী অভিযানে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এনকাউন্টারে ৪০ জন নকশালকে হত্যা করে।
ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭, SLR-এর মতো আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো জওয়ান হতাহতের খবর নেই। বিপুল সংখ্যক নকশালের (Chhattisgarh Encounter) উপস্থিতির খবর পাওয়ার পর, স্থানীয় পুলিশ বাহিনী, ডিআরজি এবং আধাসামরিক বাহিনী একটি যৌথ অভিযান চালায় এবং নকশালদের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ৪০ জন নকশালকে হত্যা করে।
জানা গিয়েছে, জওয়ানরা নিহত নকশালদের (Chhattisgarh Encounter) দেহ নিয়ে শনিবার নারায়ণপুরের সদর দফতরে পৌঁছবেন, যেখানে নিহত নকশালদের পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। একই সময়ে, গত আট মাসে বিভিন্ন এনকাউন্টারে ১৬৫ জন নকশাল নিকেশ হয়েছে।
পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নারায়ণপুর ও দান্তেওয়াড়া জেলার সীমান্তে নকশালদের উপস্থিতির খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে নকশাল বিরোধী অভিযানের জন্য পাঠানো হয়েছিল।
এখনও পর্যন্ত ৩০ জন নকশাল (Chhattisgarh Encounter) নিহত হয়েছে, সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলতে থাকে। উভয় পক্ষের গুলিবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। বিপুল সংখ্যক স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার গৌরব রাই এই খবর নিশ্চিত করেছেন। নিহত নকশালদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
পুলিশ সুপার বলেন, দুপুর ১টার দিকে নিরাপত্তা বাহিনী যখন নকশালদের উপস্থিতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, তখন তারা (নকশালরা) গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনীও পাল্টা জবাব দেয়। তিনি বলেন, নারায়ণপুর ও দান্তেওয়াড়া জেলার যৌথ বাহিনী এবং নকশালদের মধ্যে সংঘর্ষ এখনও চলছে। ওই এলাকায় এখনও গুলিবর্ষণ চলছে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এনকাউন্টারে (Chhattisgarh Encounter) সমস্ত জওয়ানরা নিরাপদে রয়েছেন। এ বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী বস্তার অঞ্চলের সুকমা জেলায় একটি মাওবাদী শিবিরের সন্ধান পেয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।