বৃহস্পতিবার সরকার প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা (Chief Financial advisor) ভি অনন্ত নাগেশ্বরনের মেয়াদ ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত দুই বছর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি এই মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে।
অনন্ত নাগেশ্বরন কে?
ভি অনন্ত নাগেশ্বরন ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ভারত সরকারের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা (Chief Financial advisor) হন। তার কাজ মূলত অর্থনৈতিক নীতি সম্পর্কে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া এবং কেন্দ্রীয় বাজেটের আগে সংসদে উপস্থাপিত হওয়ার জন্য অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রস্তুত করা।
অর্থনীতি ও তার অবদান
নাগেশ্বরনের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা এমন এক সময়ে এসেছে যখন সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সমীক্ষায় ২০২৪-২৫ সালে আগামী অর্থবছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৩ শতাংশ থেকে ৬.৮ শতাংশের মধ্যে অনুমান করা হয়েছে। ভারত এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে ভারতের অর্থনীতি ৬.৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শিক্ষা ও কর্মজীবন.
ভি অনন্ত নাগেশ্বরন (Chief Financial advisor) একজন শিক্ষাবিদ, লেখক এবং পরামর্শদাতা। তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম) আহমেদাবাদ থেকে এমবিএ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ডক্টরেট করেছেন। এছাড়াও, তিনি সিঙ্গাপুর এবং ভারতের বেশ কয়েকটি বিজনেস স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন।
পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা এবং সাফল্য
ভি অনন্ত নাগেশ্বরন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা (Chief Financial advisor) কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন (২০১৯-২১)
তিনি ক্রেডিট সুইস গ্রুপ এবং জুলিয়াস বেয়ার গ্রুপের মতো শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেছেন।
তিনি আইএফএমআর গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ বিজনেসের ডিন এবং ক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং অধ্যাপক ছিলেন।
তিনি নীতি গবেষণা ও শিক্ষার জন্য একটি স্বাধীন কেন্দ্র তক্ষশিলা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছিলেন।
২০০১ সালে আবিস্কর গ্রুপের প্রথম প্রভাব বিনিয়োগ তহবিল চালু করার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
ভি অনন্ত নাগেশ্বরনের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার তাঁকে ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত এই পদে (Chief Financial advisor) বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁর নির্দেশনায় ভারতের অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।