নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসাত: গড়িয়ার শ্মশানে মৃতদেহ কেলেঙ্কারিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। পদত্যাগ করতে হবে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসতে দলের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে একথা বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। মোদি সরকার-০২ এর প্রথম বর্ষপূর্তি কর্মসূচি উপলক্ষ্যে সাংবাদিক বৈঠকে গড়িয়ার শ্মশানে মৃতদেহ কাণ্ডে সরব রাহুল। তিনি সরাসরি বলেন, ১৩টি মৃতদেহই কোরোনা রোগীর। না-হলে এত ছুঁৎমার্গ থাকে না।
মোদি সরকারের সাফল্য প্রচারের সাংবাদিক বৈঠক হলেও গোড়া থেকেই রাহুলের নিশানায় ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি বলেন, কোরোনা নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। তাই সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করেছে। শুধু তা-ই নয়, কোরোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট তা হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছে।
আমফান ঘূর্ণিঝড়ে দুর্গতদের ত্রাণ নিয়ে রাহুল মুখ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমফান ঝড়ে দুর্গতদের ত্রাণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করেছেন। আর দুর্নীতির মাথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কিন্তু জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তাঁর দপ্তরের সচিবকে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে।’ তৃণমূলের ভরাডুবি আসন্ন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রাহুল এদিন বলেছেন, আপনি যদি না চালাতে পারেন, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করুন। আর আপনারা সন্ন্যাসে গ্রহণ করে চলে যান।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক দুলাল বর, বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও রাজ্য কমিটির সহসভাপতি দেবাশিস মিত্র।