রাজ্যে ক্রমেই সক্রিয় হয়ে পড়েছে আন্তঃরাজ্য পাচারচক্র (Child Trafficking)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে চক্রের (Child Trafficking) দুই মাথাকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। পাশাপাশি দুই দিনের শিশু কন্যাকে (Child Trafficking) উদ্ধার করা হয়েছে। সেই শিশু কন্যাকে (Child Trafficking) হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই শিশুটিকে কোনও রাজ্য থেকে (Child Trafficking) নিয়ে আসা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে সিআইডি। এই শিশুটিকে পাচারের সঙ্গে আর কিছু যুক্ত কি না, তাও তদন্ত করা হচ্ছে বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে স্পেশাল সিআইডি অফিসারের নেতৃত্বে একটি দল শালিমার স্টেশন চত্বরে অভিযান চালায়। অভিযানে দুই ব্যক্তিকে সিআইডি গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তির নাম মানিক হালদার ও মুকুল সরকার। তাঁদের কাছে দুই দিনের এক শিশু কন্যাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের কাছে থাকা শিশু কন্যাটিকে উদ্ধার করে হাওড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সিআইডির অভিযানের সময় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাও ছিলেন।
অন্যদিকে, শনিবার সন্ধের সময় এসটিএফের তদন্তকারী অধিকারিকরা শিয়ালদা স্টেশনের সামনে বৈঠকখানা রোডে একটি অস্ত্রাগারের সন্ধান পায়। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। শিয়ালদহের মতো জায়গায় এই ঘিঞ্জি এলাকায় কীভাবে আগ্নেয়াশস্ত্র এল নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এসটিএফ গোটা এলাকাটি ঘিরে ফেলে অভিযান চালায়।ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
জানা গিয়েছে, যেখানে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, সেখান থেকে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ একেবারে কাছে। এসটিএফের কাছে খবর গিয়েছিল যে বৈঠকখানার রোডের ওই নির্দিষ্ট এলাকায় অস্ত্র মজুত করা হয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় এসটিএফ। কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। কয়েকটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধেবেলাতেই খবর গিয়েছিল আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা হয়েছিল। ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অস্ত্র কেনা বেচার কারণে মজুত করা হয়েছিল নাকি অন্য কারণে অস্ত্র মজুত করা হয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে প্লাস্টিকের কন্টেনারে অস্ত্রগুলো রাখা হয়েছে। সামনেই রাজ্যের একাধিক কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার ঠিক আগে এই ধরনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সামনেই শিয়ালদহ স্টেশন।