নিজস্ব সংবাদদাতা, ব্যারাকপুর: গঙ্গার ধারে শিশু দিবসের বিকেলে ছবি আঁকতে বসেছিল খুদের দল। আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে শিশুদের মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে ছবি আঁকা ও গল্প বলা সহ ঘরের কাজ করতে গিয়ে কেটে বা পুড়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছিল। সহযোগিতায় ছিল উত্তর বারাকপুর পুরসভা।
রাজ্যে কলকাতার পরেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ডেঙ্গি বৃদ্ধির হার সব থেকে বেশি, বিশেষ করে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। এই অঞ্চলের শিশুদের মনে ডেঙ্গির সচেতনতা বোধ কতটা বেশি, তা একবার প্রমাণ করে দিল আজ।
ছবি আঁকা শেষে পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশ্ন করেন, ‘‘ডেঙ্গি ছড়ায় কোন মশা?’’ সমস্বরে শিশুদের জবাব, ‘‘এডিস মশা থেকে।’’ কেউ আবার প্রশ্ন করার আগেই বলে ওঠে, ‘‘বাড়িতে জমা জল রাখলে ডেঙ্গির মশা বাড়তে পারে।’’ পুরপ্রধান মলয় ঘোষও পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘তাহলে সবাই বাড়িতে গিয়ে খেয়াল রেখো যেন কোথাও পরিষ্কার জমা জল না থাকে।’’ খুদেদের আঁকা ছবি এদিন শেষ বিকেলে প্রদর্শিত হয় ইছাপুর নবাবগঞ্জ ফেরিঘাট সংলগ্ন পুষ্পিতা নামে পুরসভার একটি নির্মিয়মান ছাদ বাগানে।
আয়োজক সংস্থা ‘আজকের বারাকপুর’ এর কর্ণধার মাধব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বারাকপুরের ইতিহাস নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি গত ১৮ বছর ধরে দেড় হাজারের বেশি শিশুকে নিয়ে তাদের মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে বছরভর একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। সোমবার শিশুদিবসে স্কুল পড়ুয়া খুদেরা ছবি আঁকার পাশাপাশি ডেঙ্গি ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন এটা বোঝা গেল।’’
এদিনের গোটা অনুষ্ঠানটি অনলাইনে দেখেন প্রশাসনের আধিকারিকেরাও। ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ বারিক বলেন, ‘‘শিশুরা সচেতন হলে সমাজ সচেতন হবে দ্রুত। এই অনুষ্ঠানটি নিছক শিশুদিবসের অনুষ্ঠান নয়। এই মুহূর্তে এটি প্রাসঙ্গিক।’’