অপহরণের অভিযোগ বারাসত পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (TMC Councillor) মিলন সর্দারকে গ্রেফতার করল সিআইডি। (TMC Councillor) মিলন সর্দারের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার মামলাও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের এই কাউন্সিলরের (TMC Councillor) বিরুদ্ধে ত্রিপুরার এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বিশাল অঙ্কের অর্থ মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করার অভিযোগ রয়েছে।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে খড়দার এক আবাসন থেকে ত্রিপুরার এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে। খড়দার ওই আবাসনের পার্কিং লট থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরেই পুলিশে অভিযোগ করা হয়। তদন্তে নামে সিআইডি। আগেই সিআইডি সাতজনকে গ্রেফতার করে। এবার তৃণমূলের কাউন্সিলর মিলন সর্দারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজকে আদালতে পেশ করা হবে। জানা যায়, সেপ্টেম্বরের শুরুতে ওই ব্যবসায়ীকে অস্ত্র দেখিয়ে অপহরণ করা হয়। ত্রিপুরার ওই ব্যবসায়ীকে বারাসাতের একটি আবাসনে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। জানা যায়, ত্রিপুরার ওই ব্যবসায়ী খড়দায় পরিচিত একজনের বাড়িতে এসেছিলেন। ২ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
সূত্রের খবর, প্রথম দফায় মুক্তিপণ হিসেবে ৬ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল। সেই টাকা দেওয়াও হয়। পরে আরও ৩ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। বরাসাতের অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে সিআইডি তাঁর নিজের এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শাসক দলের ওপর চাপ বাড়তে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর। ইতিমধ্যে তৃণমূল ওই কাউন্সিলরের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করেছে।
২০১৫ সালে বারাসত পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হন মিলন সর্দার। তার আগে সোনার দোকানের কারিগর ছিলেন তিনি। কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকেই তাঁর আর্থিক অবস্থার হঠাৎ করেই উন্নতি হতে শুরু করে বলে জানা গিয়েছে। ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অভিযোগ ছিল। ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে আবাস যোজনায় বাড়ি দেওয়াকে কেন্দ্র করে অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে।