সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আরজি কর(Rg kar medical college) পাহারায় ইতিমধ্যে পৌঁছেছে আধাসেনা। গত ১৪ই অগস্ট হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনার পর সিআইএসএফ মোতায়েনের নির্দেশ দেয় আদালত। আর তারপরই মঙ্গলবার সিআইএসএফ-এর কর্তারা এসে গোটা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। জানা যাচ্ছে, সরকারি হাসপাতালের বারো একর জমির উপরে অবস্থিত ৩৩টি বিল্ডিংকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ব্লু-প্রিন্ট।
প্রশাসনিক ভবন, এমার্জেন্সি বিল্ডিং,ট্রমা কেয়ার, স্ত্রীরোগ, এসএনসিইউ,ওপিডি,সার্জারি বিল্ডিং-সহ সবকটি হস্টেলে মোতায়েন থাকবে বাহিনী। এছাড়াও হাসপাতালের যে তিনটি মূল গেট রয়েছে, সেখানেও সর্বক্ষণের জন্য মোতায়েন থাকছে বাহিনী। গেট ৬- ওপিডি গেটে আধাসেনা থাকবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। জরুরি বিভাগের দুই গেটে বাহিনী থাকবে ২৪ ঘণ্টাই। এছাড়া এমার্জেন্সি বিল্ডিং, ট্রমা কেয়ার, ওপিডি, প্রশাসনিক ভবনে থাকছে মেটাল ডিটেক্টর।
সাধারণত এক কোম্পানি বাহিনীতে ৮০ থেকে ১২০ জন কেন্দ্রীয় জওয়ান থাকেন। তাঁদের মধ্যে সক্রিয় থাকেন ৭০ জন। বাকিরা অন্যান্য কাজে নিযুক্ত থাকেন। এ ক্ষেত্রে, দুই কোম্পানি বাহিনী হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত বলে মনে করেছেন কর্তারা। আরজি করে থাকবেন এক সুপারিন্টেন্ডেন্ট-সহ প্রায় ১৫০ জওয়ান।
আরজি করের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে গত ৯ অগস্ট এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর থেকে আরজি কর উত্তাল। সুবিচার চেয়ে এবং হাসপাতালের মধ্যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হন চিকিৎসকেরা। এখনও তাঁদের কর্মবিরতি চলছে। আরজি করের আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে গোটা দেশে। ক্রমে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে অন্যান্য হাসপাতালগুলিতেও। এই পরিস্থিতিতে গত ১৪ অগস্ট আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতা জুড়ে মহিলাদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই কর্মসূচি চলাকালীন রাতে আরজি করে হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতী। ভাঙচুর করা হয় জরুরি বিভাগে। সেই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ব্যর্থতা দেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যকে ভর্ৎসনাও করা হয়েছে। তার পরেই হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়।