আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে বার বার পুলিশের ওপর সাধারণ মানুষের অনাস্থা প্রকাশ পেয়েছে (Mamata Banerjee)। এবার পুলিশের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করলেন খোদ পুলিশমন্ত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পাশাপাশি তিনি (Mamata Banerjee) ডিজিকে দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন পুলিশের সংস্কারের প্রয়োজন বলেও তিনি (Mamata Banerjee) জানান। মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) এই ধরনের মন্তব্যে রাজ্যের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের অস্বস্তি যে বাড়ল তা বলা অপেক্ষা রাখে না।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজীব কিছু জিনিসকে দ্রুত দেখতে হবে। হয়তো তুমি চেষ্টা করো, কিন্তু লোকাল পুলিশ সাহায্য করছে না। সবাইকে বলছি না, একাংশের কথা বলছি।” পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেন, “রাজনৈতিক নেতাদের নামে সবাই বদনাম করে বেশি। ৫ টাকা খেলে ৫০০ টাকা বলে দেয়। কিন্তু রাজনৈতিক নেতারা জনগণের টাকা খাওয়ার দশবার ভাবে। কিন্তু, নীচুতলার কিছু অফিসার, কিছু কর্মী যাঁরা এই সরকারকে ভালবাসে না, পুলিশেরও কিছু লোক টাকা খাচ্ছে।” এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বালি চুরি, কয়লা চুরি, সিমেন্ট চুরির প্রসঙ্গও টেনে আনেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্যে নতুন করে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে বলে বার বার বিরোধীরা আক্রমণ করেছেন। একাধিকবার অভিযোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে বা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিরোধীরা পুলিশকে “তৃণমূলের দলদাস” বলেও একাধিকবার কটাক্ষ করেছেন। এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের নীচু তলার কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নিজের অনাস্থা প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের নীচু তলার কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি সিআইডি রিসাফেল করব। পুরোটাই। কমপ্লেন পেলে ক্রশ চেক করো। কিন্তু অভিযোগ সত্যি হলে কড়া ব্যবস্থা নাও। আমি কারও কথাই শুনব না।”