বুধবার পোস্তায় প্রতিবারের মতো জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি (Mamata Banerjee) জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে এসে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, “জগদ্ধাত্রী হলেন জগতের মা। মায়ের একাধিক রূপ। কালই ছট পুজো আছে। আমাদের এখানে ছট পুজোয় সরকার দু’দিন ছুটি দেয়। আপনারা আস্তে আস্তে ঘাটে যাবেন। তাড়াহুড়ো করবেন না। কারণ জলে পুজো হয়। তাই সাবধানতা বজায় রাখবেন। আমি ছটপুজো উপলক্ষে গান করেছি। তাতে ভুল হলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। বৃহস্পতিবার ঘাটে পুলিশ সেই গান চালাবে।” এর আগে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) দুর্গাপুজো ও কালী পুজোতেও গান লেখেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “প্রতিবার আমি এখানে পুজোর উদ্বোধন করতে আসি। এবারেও পুজোর উদ্বোধন করতে এসেছি। আমি মনে করি মা এখানে আমাকে ডেকে নিয়ে আসেন। চন্দননগরের একাধিক পুজো দেখলাম এখান থেকে। আপনাদের পুজো ভাল হয়েছে। পুজো আপনাদের সকলের ভাল কাটুক। ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগরের মোট ১০টি পুজো আজ ভার্চুয়ালি আমরা উদ্বোধন করলাম।”
জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের বার্তা তুলে ধরেন। তিনি টেনে আনেন বাম জামানার কথা। তিনি বলেন, “আগের বড়বাজার, পোস্তার চেহারা কী ছিল? আগে আগুন লাগলে নিয়ন্ত্রণ করা যেত না। প্রচুর জুলুম হত। আমরা চাই জুলুম যেন না হয়। এমন কিছু হলেই আপনারা অভিযোগ করবেন থানায়।” একসঙ্গে বন্দরের সঙ্গে জমি সমস্যা সমাধানে মন্ত্রী মলয় ঘটককে নির্দেশ দিয়ে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, “বন্দরের সঙ্গে আপনাদের জমির সমস্যা আছে। এই বিষয়ে আমরা আদালতে গিয়েছিলাম। আদালত কিছু নির্দেশ দিয়েছিল। এই বিষয়ে দ্রুত মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করবেন মলয় ঘটক। আমি কাজ ফেলে রাখা পছন্দ করি না। সব কাজ হয় না। যে কাজ হয় সেই কাজ দ্রুত সেরে ফেলা উচিত। কোভিডের সময়ে আমি একাই এসেছিলাম। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম। আমি সবসময় পাশে ছিলাম।”