বিরোধী দল বিজেপি এবং শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) মধ্যে রাজনৈতিক তিক্ততার আবহেও প্রশংসার অদ্ভুত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। একদিকে তৃণমূল নেতা (TMC) কুণাল ঘোষ বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর প্রশাসনিক দক্ষতা নিয়ে প্রশংসা করেছেন, অন্যদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর মুখ খুলেছেন তৃণমূলের (TMC) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে।
তৃণমূলের রাজ্য (TMC) সম্পাদক কুণাল ঘোষ বুধবার বলেন, “বিজেপিতে যারা আছে, তাদের মধ্যে সাংগঠনিকভাবে, প্রশাসনিক অভিজ্ঞতায় শুভেন্দু অনেকটাই এগিয়ে। যেহেতু শুভেন্দু মমতার স্কুলের ছাত্র, ভালো স্কুলের একটা ছাপ তো থাকেই।” কুণালের এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় জল্পনা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বাগদার হেলেঞ্চায় মতুয়া ধর্ম মহাসম্মেলনে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দক্ষতা নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “অভিষেক নতুন প্রজন্মের ছেলে, অনেক বেশি চৌকস এবং দক্ষ। আমি মনে করি, বুড়ো ঘোড়াদের রেস্ট নেওয়া উচিত। যাদের দ্বারা সরকার চলছে না, তাদের রেখে লাভ কী? নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে দিতে হবে।”
তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব গত কয়েক মাসে প্রকট হয়েছে। দলীয় নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। সরস্বতী পুজোর পর সংগঠনে রদবদলের সম্ভাবনার খবরের মধ্যেই শান্তনু বলেন, “ভিতরের ভাঙনটা ভালোভাবেই হয়েছে। এটা চলতে থাকুক। সময় ঘনিয়ে এসেছে।”
তৃণমূলের অন্দরমহলের দ্বন্দ্ব এবং বিজেপির কৌশলগত সমালোচনার মধ্যেও দুই শিবিরের নেতারা যেভাবে একে অপরের প্রশংসা করছেন, তা বিরল ঘটনা। তবে এই মন্তব্যগুলি কি শুধু সৌজন্যমূলক, নাকি এর পেছনে বড় কোনো রাজনৈতিক বার্তা রয়েছে, তা নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে।
রাজ্যের রাজনীতিতে নবীন-প্রবীণদের এই বিতর্ক এবং দলীয় অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের সম্ভাবনা আগামী দিনে নতুন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।