ঘোষণাটা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন লিওনেল মেসি। কোপা আমেরিকার (Copa America) শিরোপা দিয়েই স্মরণীয় করে রাখবেন বন্ধু ডি মারিয়ার বিদায়। যেই কথা সেই কাজ। কোপার ফাইনালে টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকা কলম্বিয়াকে অতিরিক্ত সময়ে হারিয়ে রেকর্ড ১৬তম ট্রফি ঘরে তুলল আর্জেন্টিনা।
আজ সোমবার মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে কলম্বিয়াকে ১-০ ব্যবধানে হারায় লিওনেল স্কালোনি শিষ্যরা। দলের হয়ে গোল করেন লাউতারো মার্টিনেজ। এটি আর্জেন্টিনার টানা তৃতীয় আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়। যা এক বিরল রেকর্ড বটে।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পুরো ৯০ মিনিটে গোল পায়নি আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়ার কেউই। বল দখল ও আক্রমণে আর্জেন্টিনার চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিল কলম্বিয়া। তবে, একের পর এক সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। যেখানে বাজিমাত মার্টিনেজের।
এর আগে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মন্টিয়েলের ক্রস থেকে পা ছোঁয়ালেও তা লক্ষ্যে রাখতে পারেননি আলভারেজ। ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় কলম্বিয়া। লুইস ডিয়াজের গড়ানো শট ঠেকিয়ে দলকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। পরের মিনিটেই রদ্রিগেজের বাড়নো বলে করডোভা শট করলে তার বারের ঠিক পাশ দিয়ে চলে যায়। যার ফলে এবারও হতাশ হতে হয় কলম্বিয়াকে।
১৩তম মিনিটে আবারও আক্রমণে যায় কলম্বিয়া। এবার রদ্রিগেজের বাড়ানো বলে কুয়েস্টা হেড করলে তা সহজে তালুবন্দী করেন মার্টিনেজ। ৩৩তম মিনিটে দারুন এক শট করেন লারমা। তবে মার্টিনেজের হাতে লেগে বল মাঠের বাহিরে চলে যায়। বাকি সময়ে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারায় গোলশূণ্য বিরতিতে যেতে হয় দুদলকে।
এরপর ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিল মেসিরা। তবে, ডি-বক্সের ভেতর বল পেয়েও গোল করতে পারেননি ম্যাক অ্যালিস্টার। এর মিনিট দশেক পর আরও একটি সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে, এবার ডি মারিয়ার শট অসাধারণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক।
ম্যাচের (Copa America) ৬৫তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় আলবিসেলেস্তারা। চোট পেয়ে চোখের জলে মাঠ ছাড়েন লিওনেল মেসি। এরপর আরও বেশ কিছু আক্রমণ করলেও গোলের মুখ দেখেনি কেউ। এরপর নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলের দেখা পায়নি কেউ। যদিও কলম্বিয়া অনেক সুযোগ পেয়েছিল। সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনাও। কিন্তু কেউই পায়নি জালের নাগাল। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
ম্যাচের ৯৫ মিনিটে দারুণ একটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল আর্জেন্টিনা। এ সময় রদ্রিগো ডি পল ডি বক্সের মধ্যে নিকোলাস গঞ্জালেসকে বল বাড়িয়ে দেন। তিনি বল পেয়েই দ্রুত শট নেন। কিন্তু কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ভার্গাস দ্রুত বলের লাইনে এসে ঝাপিয়ে পড়ে তালুবন্দি করেন বল।
১০৮তম মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল কলম্বিয়াও। তবে, লিসান্দ্রোর অসাধারন ডিফেন্ডিংয়ে নিশ্চিত গোল হজমের হাত থেকে রক্ষা পায় আর্জেন্টিনা। তবে, ম্যাচের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত আসে ১১২ তম মিনিটে। লে সেলসোর বাড়ানো বলে দারুণ ফিনিশিং করেন মার্টিনেজ। এই গোলেই শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসেন আলবিলেস্তোরা।