বাংলায় ফের চোখ রাঙাচ্ছে কোভিড (Covid New Cases)। এবার বাংলায় ওমিক্রনের নতুন প্রজাতির হদিশ পাওয়া গিয়েছে । কেপি২এ আক্রান্তদের হদিশ মিলল রাজ্যে । ওমিক্রনের নয়া প্রজাতিতে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ ৷ স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, প্রায় চার মাস ধরে রাজ্যে বহু করোনা পজিটিভ মানুষের জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে । সেখানেই পজিটিভ আসে কয়েকজনের । বর্তমানে তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ । বর্তমানে সারা দেশে কেপি-২ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা ২৭২ । সব থেকে বেশি আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে ।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে জানা গিয়েছে যে, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রনের নতুন এই সাব ভ্যারিয়েন্ট (Covid New Cases) । দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে জানুয়ারি মাসে প্রথম ধরা পড়ে এই প্রজাতি । তবে এরপর সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস । তেমনভাবে এবার বাংলাতেও এই ভাইরাসের হদিশ মিলেছে । প্রায় ৩০জন আক্রান্ত । কিন্তু সকলেই স্থিতিশীল । চিকিৎসকের মতে, এই নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই । এর মারণ ক্ষমতা রয়েছে বটে তবে বিরাট আশঙ্কার কারণ নেই । একটি মহামারী শেষ হলে এমন বহু প্রজাতিতে ভেঙে যায় । তবে টিকা নেওয়ার দরুন সকলের মধ্যেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে ।
এই রোগের লক্ষণ হিসাবে চিকিৎসকের জানান, করোনার সময় যে সব সমস্যা দেখা দিত সেইগুলোই এরও লক্ষণ । যেমন – কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, মাথা থেকে শুরু করে সারা শরীরে যন্ত্রণা । চিকিৎসকদের কথায়, এই সময় মূলত পুরনো অভ্যাস ফিরিয়ে আনা দরকার । এই বিষয়ে চিকিৎসক দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় জানান, যাঁদের কো-মর্বিটি আছে তাঁদের সাবধানে থাকতে হবে । সর্দি-কাশি হলে মাস্ক ব্যবহার করা ভালো । যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চললেই সুবিধা । আর স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার অভ্যাসগুলো আমাদের কোনও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয়, সারাজীবন সঙ্গে রাখা দরকার।