CV Anand Bose: আন্তরিকভাবেই রাজ্যের সঙ্গে ‘মিষ্টি সম্পর্ক’ চান রাজ্যপাল!কী বলছেন সিভি আনন্দ বোস

রাজ্যপাল সিভি আনন্দের (CV Anand  Bose) মেয়াদ দুই বছর পূর্ণ হল বাংলায়। এই উপলক্ষ্যে রাজভবনে (CV Anand  Bose) বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন একাধিক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। শনিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand  Bose) স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন। এদিন তিনি বৃক্ষরোপন করেন। এদিন তিনি (CV Anand  Bose) রাজ্যের সঙ্গে মিষ্টি সম্পর্ক বজায় রাখতে মুখ্যমন্ত্রীকে মিষ্টি পাঠান।

এদিন রাজ্যপালের তরফে মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের রাজভবনে আসার আমন্ত্রণও জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রীর তরফেও শনিবার রাজভবনে মিষ্টি পাঠান। অন্যদিকে, শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজযপাল সিভি আনন্দ বোস পরোক্ষে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন। এদিন তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলার সংস্কৃতি ও রাজনীতি নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেন। রাজনীতিতে তীব্রভাবে দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে। এই ঘটনাকে তিনি রাজনীতির ময়দানে ক্যানসার বলে উল্লেখ করেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিষ্টি পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যপাল একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম বছরে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের একটা বন্ধত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় বছর থেকে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। সূত্রের খবর তিনি চিঠিতে লিখেছিলেন, রাজ্যের সঙ্গে আন্তরিকভাবে “মিষ্টি সম্পর্ক” চান।

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এক মহিলা হেনস্তার অভিযোগ তুলেছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল, রাজ্যপাল রাজভবনে কর্মরত এক মহিলাকে শ্লীলতাহানি করেছিলেন। এরপর থেকেই রাজ্য-রাজ্যপালের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগের পর রাজ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি আর রাজভবনে যাবেন না। প্রয়োজন পড়লে রাজ্যপালের সঙ্গে তিনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলবেন। কিন্তু তিনি রাজভবনের ভিতরে যাবেন না। তারপরেই নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়।