বিধানসভায় অপরাজিতা বিলের এখনই ছাড়পত্র দেবে না রাজভবন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস খোদ এই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এই বিলের সঙ্গে কোনও টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। কোনও বিলের ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য যা অত্যন্ত জরুরি।” প্রশ্ন উঠছে, এই বিষয়টি রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই জানতো। তারপরেও কেন কোনও টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাঠানো হয়নি।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, “অপরাজিতা বিলে নতুন কিছু নেই। অন্ধ্র, অরুণাচল, মহারাষ্ট্রের নারী সুরক্ষা বিলের অনুকরণ মাত্র।” তিনি বলেন, এই বিলগুলো এখনো রাষ্ট্রপতির কাছে পড়ে রয়েছে। সমস্ত ঘটনাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন। রাজ্যপাল প্রশ্ন তোলেন, সব জানার পরেও কেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের বিল নিয়ে আসেন। কঠোর ভাষায় রাজ্য সরকারের নিন্দা করে রাজভবনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিলের সঙ্গে তার টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাঠানোটা রাজ্য সরকারের কর্তব্য। রাজ্য সরকার সেটা পাঠায়নি। এই প্রথমবার নয়, এর আগেও একাধিকবার টেকনিক্যাল রিপোর্ট না পাঠিয়েও বিল আটকে রাখার জন্য রাজভবনকে দুষেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এই বিষয়ে রাজ্যপাল ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ক্ষুব্ধ হয়ে রাজ্যপাল বলেছেন, বিল পাশের আগে রাজ্যের হোমওয়ার্ক করা উচিৎ ছিল। অপরাজিতা বিল নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে যে রাজ্যের নতুন করে চাপানউতোর তৈরি হতে চলেছে, সেই বিষয়ে সন্দেহের কিছু নেই। অপরাজিতা বিলের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আরজি কর আবহের মধ্যেই অপরাজিত বিল পেশ করা হয় রাজ্য সরকারের তরফে। বিরোধীরা এই বিলকে সমর্থন করেন। বিল পেশের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই বিলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান আনা হয়েছে। আদালতের অনুমতি ছাড়া যাতে মহিলা বা শিশুর পরিচয় সামনে না আসে, সেটাও বলা রয়েছে। এই ক্ষেত্রেও আমরা ৩ থেকে ৫ বছরের সাজার প্রস্তাব রাখছি।” বিরোধীরা প্রথম থেকেই দাবি করেছিলেন, এই বিলে নতুন কিছু নেই।