বাংলায় ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) দানা আছড়ে পড়েনি। তবে বাংলায় ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) প্রভাব যে একেবারে প্রভাব পড়েনি, তা বলা যাবে না। ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) প্রভাবে উপকূল জেলাগুলোতে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সকাল থেকে গোটা সুন্দরবনজুড়ে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে, সঙ্গে দমকা হাওয়া। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রবল বৃষ্টিপাতের জন্য জেলা জুড়ে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী একাধিক অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকে সাগরদ্বীপ ও কাকদ্বীপে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির আশ্রমের ৩, ৪ ও ৫ নম্বর মেলা মাঠে জল জমে গিয়েছে শুক্রবার সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টির জেরে। পাশাপাশি কাকদ্বীপেও প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সাগরদ্বীপে একাধিক জায়গায় গাছ পড়ে গিয়েছে। ডিফেন্সের কর্মীরা গাছ কেটে পরিষ্কার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিয়াদহ থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও সাগর, কাকদ্বীপ, সুন্দরবনের সমস্ত ফেরী চলাচল বন্ধ রয়েছে। গোসাবাতেও প্রবল বৃষ্টির খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
পূর্ব মেদিনীপুরে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব পড়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে কাল রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঝোড়ো হাওয়া দেখা দেয়। জানা গিয়েছে, উপড়ে গেছে প্রায় ১৭৫টি বিদ্যুতের খুঁটি। পূর্ব মেদিনীপুরের অনেক জায়গাতে বিদ্যুৎ পরিসেবা নেই বলেই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, আশঙ্কা থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সেভাবে বাংলায় পড়েনি। ধমড়ার কাছে ল্যান্ডফল হলেও সেই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশার বাইরে বের হয়নি। ধামড়ার কাছে যেখানে ল্যান্ডফল হয়েছে, সেখানে লোকবসতি নেই। ম্যানগ্রোভ জঙ্গল। ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের কারণেই ক্ষয়ক্ষতি সেভাবে হয়নি। ঝড় বসতি এলাকাতে সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি। যে কারণে আজ থেকেই ধামড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে পৌঁছে গিয়েছেন। কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ওড়িশা ও বাংলার উপকূলে কতগুলো মাটির বাড়ি ভেঙেছে বলে জানা গিয়েছে। দীঘাতে এক দোকানিক সমুদ্রের জলচ্ছ্বাস দেখতে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।