নিজস্ব প্রতিনিধি, নন্দীগ্রাম: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’। আর সেই নিয়েই নন্দীগ্রাম ব্লক মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী ও মৎস্যজীবী- দের নিয়ে সতর্কতা শিবির আয়োজিত হল বুধবার।
বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ নন্দীগ্রাম এক ব্লক মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে কেন্দেমারী বাছুরমারি খাল সংলগ্ন নদী তীরে ( গঙ্গা মেলা মোড়) ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীকে নিয়ে মৎস্য আহরণে নির্দেশিকা অনুযায়ী মৎস্যজীবীদের সুরক্ষা সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কি কি করণীয় পদক্ষেপ ও পরিবেশবান্ধব সচেতনতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সকল নৌকা, ফিশিং ট্রলারের সাথে যুক্ত মৎস্যজীবীদের সাথে একটি সতর্কতা শিবিরের আয়োজন করা হয়।
মৎস্যজীবিদের এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রাম এক ব্লকের মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু, নন্দীগ্রাম এক পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মৌসুমি পানি সহ হলদিয়ার ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর আধিকারিকগন। এদিন ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড সিকিউরিটি ড্রিল এর বিষয়ে আলোকপাত করে। এছাড়া প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিষুব রেখার কাছে সুমাত্রা সাগর বা আন্দামান সাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’, সেই বিষয়ে মৎস্যজীবীদের অবগত করা হয়।
নন্দীগ্রাম এক ব্লকের মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, “বছরভর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মৎস্যজীবীদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলা হয়। ঘূর্ণিঝড় ফনী, আয়লা, আম্ফান, ইয়াশের পর এ বছর আসতে চলেছে ‘মোচা’। তারই অঙ্গ হিসেবে এদিনের এই আলোচনা । মূলত কিভাবে এই ঘূর্ণিঝড় থেকে মোকাবেলা করতে হবে তা নিয়ে আজ আলোচনা হল ‘।
এদিনের শিবিরে উপস্থিত মৎস্যজীবী সেকেন্দার মল্লিক, অজয় গিরি, আমিনুল ইসলামরা বলেন, ‘প্রতিবছরই প্রায় কোনো না কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়তে হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হই। এবারেও আসতে চলেছে“ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’। এদিনের সভায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ সতর্কতায় নৌকা-ট্রলার সহ মৎস্যজীবীদের সুরক্ষায় আমাদের কি করনীয় তা সম্পর্কে জানতে পেরে খুবই উপকৃত হলাম ‘ ।তবে এদিনের এই সতর্কতা মূলক শিবিরের আয়োজন এর জন্য মৎস্য বিভাগের আধিকারিক সুমন বাবুকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে ভুললেন না মৎস্যজীবীরা।