বাংলার আকাশে ফের দুর্যোগের ভ্রূকুটি। আজ থেকে তিন বছর আগে যেদিন যশ আছড়ে পড়েছিল সুন্দরবন এলাকায়, ঠিক একইদিনে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ (Cyclone Remal) আছড়ে পড়ার কথা সেখানে। যার প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে সুন্দরবনের দ্বীপ এলাকায়। এতেই রাতের ঘুম উড়েছে সুন্দরবনবাসীর। বিশেষ করে নদীপাড়ের বাসিন্দারা পড়েছেন মহা বিপদে! চোখেমুখে তাঁদের আতঙ্কের ছাপ। কী করবেন আর না-করবেন, তা ভেবেই আতঙ্কে গ্রামবাসীরা।
দ্বীপবেষ্টিত নদীপাড়ের বাসিন্দারা এতটাই আতঙ্কিত যে সকাল থেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে নদীর পাড়ে এসে বসে আছেন। মাথায় হাত দিয়ে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন নদীর জলস্তরের দিকে। কারণ, নদী ফুলে ফেঁপে উঠলেই কাঁচাবাঁধ ভেঙে জল ঢুকবে একের পর এক গ্রামে ৷ আবারও তাঁদের বানভাসি হতে হবে। সেই আশঙ্কা যেন চেপে বসেছে সুন্দরবনবাসীর মনে। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমালের (Cyclone Remal)মোকাবিলায় সতর্কতা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনও। বৃষ্টির জোরালো না-হলেও আকাশে কালো মেঘ ৷
একদিকে, মাইকিংয়ের মাধ্যমে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের যেমন সচেতন করা হচ্ছে, তেমনই পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে সেচ দফতর থেকে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। ইতিমধ্যে হাসনাবাদ ব্লকে পৌঁছে গিয়েছে এনডিআরএফের সদস্যরা ৷ অন্যদিকে, হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকে ২৪ ঘণ্টা ঝড়ের জন্য কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। যেখানে প্রতিনিয়ত আপডেট নেওয়া হচ্ছে ঝড়ের গতিপ্রকৃতি নিয়ে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে প্রশাসন। বিশেষত, দুই ২৪ পরগনার সমুদ্র উপকূলবর্তী বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ‘রেমাল’ সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যবর্তী স্থলভাগে আছড়ে পড়বে।