ঘূর্ণিঝড় রেমালের (Cyclone Remal) প্রভাবে সোমবারও অব্যাহত দুর্যোগ। সকাল থেকে অঝোরে বৃষ্টি, দমকা হাওয়া। টানা বৃষ্টিতে ব্যাহত হয়েছে রেল পরিষেবাও। সকাল থেকে বিভিন্ন লাইনে ট্রেন দেরিতে চলছে। আর এবার নাগাড়ে বর্ষণে ব্যাহত হাওড়া স্টেশনের দক্ষিণ পূর্ব রেলের ট্রেন চলাচলাও। টিকিয়াপাড়া রেল ওয়ার্ডে রেল লাইনের উপর জল উঠে গিয়েছে। সেই কারণে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোট ছয়টি লোকাল ট্রেন এখনও পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে টিকিয়াপাড়া রেল ইয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়ার কারণে।
৩৮৪৩৩ হাওড়া-পাঁশকুড়া লোকাল, ৩৮৪৪৮ পাঁশকুড়া-হাওড়া লোকাল, ৩৮৩১৭ হাওড়া-মেচেদা লোকাল, ৩৮৩০৪ মেচেদা-হাওড়া লোকাল, ৩৮৪২৫ হাওড়া-পাঁশকুড়া লোকাল এবং ৩৮৪৪০ পাঁশকুড়া-হাওড়া লোকাল এদিনের জন্য বাতিল রাখার সিদ্ধান্ত মেওয়া হয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে। বাতিল রয়েছে আপ দিঘা ও ডাউন তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেসও। যদিও এছাড়া আর কোনও দূরপাল্লার ট্রেন এখনও পর্যন্ত বাতিল করা হয়নি। দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই পাম্প চালিয়ে রেল লাইনের উপর থেকে জল নামানোর চেষ্টা শুরু করা হয়েছে।
এদিন সকাল থেকেই যে মুশলধারে বৃষ্টি চলছে, তাতে কলকাতা-হাওড়া ও শহরতলির বিভিন্ন জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সড়ক পথ থেকে শুরু করে রেল এমনকী মেট্রো পরিষেবার উপরেও প্রভাব পড়েছে। পার্কস্ট্রিট মেট্রো স্টেশনের ভিতরের চত্বর জমা জলের ছবি উঠে এসেছে। কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন ভিআইপি রোডের একাংশ জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল সকালেই। ঝড়-বৃষ্টির জেরে প্রভাব পড়েছে রেল পরিষেবাতেও। শেওড়াফুলি-তারকেশ্বর আপ লাইনেও দুপুরে কিছুক্ষণের জন্য বিঘ্নিত হয় পরিষেবা। জিআরপি সূত্রে খবর, নসীবপুর স্টেশনের কাছে একটি বাঁশগাছ লাইনের দিকে হেলে পড়েছিল এবং সেটি ওভারহেড তারের গায়ে ঠেকে গিয়েছিল। যদিও রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক ছন্দে ফেরান।