শীতের ছুটিতে পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট দার্জিলিং (Darjeeling)। কিন্তু এই আনন্দময় ভ্রমণই (Darjeeling) কাল হয়ে দাঁড়াল হুগলির এক পর্যটকের জন্য। ৫৮ বছর বয়সি দীপাঞ্জন সাহার মৃত্যুর (Darjeeling) ঘটনায় স্তব্ধ পরিবার।
সাহা পরিবার শীতের ছুটি কাটাতে দার্জিলিংয়ের লামাহাটায় গিয়েছিলেন। শুক্রবার ও শনিবার তাঁরা লামাহাটায় সময় কাটান। রবিবার তাঁরা দার্জিলিং গিয়ে ফের লামাহাটায় ফিরে আসার পথে দীপাঞ্জনবাবু অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁকে দার্জিলিং জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাঁর মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে অনুমান। এটি প্রথম ঘটনা নয়। এর আগে গত অক্টোবর মাসে লামাহাটায় অশোক সাধুখাঁ নামে ৬৫ বছর বয়সি কলকাতার এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিল। পাহাড়ি রাস্তায় হাঁটার সময় টাল সামলাতে না পেরে পড়ে গিয়ে তিনি মারাত্মক আঘাত পান। চিকিৎসকেরা তাঁকেও মৃত ঘোষণা করেছিলেন।
এছাড়া, শনিবার মুর্শিদাবাদের এক যুবক আলাহীন শেখ দার্জিলিংয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে খাদে পড়ে মারা যান। দার্জিলিংয়ের একটি ভিউ পয়েন্টে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। পা পিছলে তিনি গভীর খাদে পড়ে যান বলে প্রাথমিক অনুমান।
দার্জিলিংয়ের লামাহাটা এবং অন্যান্য পাহাড়ি এলাকায় পর্যটকদের ভিড় দিন দিন বাড়ছে। বিশেষত অফবিট স্থানে হোমস্টেতে থাকার প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু পাহাড়ি রাস্তায় ভ্রমণের সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বারবার উঠে আসছে। প্রতি বছর দার্জিলিংয়ে বেড়াতে এসে এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি দুঃখজনক এবং পর্যটকদের সুরক্ষার বিষয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে। প্রকৃতির রূপ উপভোগ করার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের নিরাপত্তার দিকেও নজর দেওয়া জরুরি।
গত এক বছরে পাহাড়ে বাঙালি পর্যটকদের মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। গত বছরেই সান্দাকফুতে ট্রেনিং করতে গিয়ে দুই পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে। শারীরিক পরীক্ষার পর ট্রেকিংয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।