মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে জয়ের মাধ্যমে দিল্লি ক্যাপিটালস (DC Win) আইপিএল ২০২৪-এ তাদের চিত্তাকর্ষক অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এই মরশুমের আগের অনেক ম্যাচের মতো, ২৭শে এপ্রিল শনিবার অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচেও বড় স্কোর দেখা গেল। প্রথমে ব্যাট করে, জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের ৮৪ রানের ইনিংসে ভর করে দিল্লি ২৫৭ রান করে, যার জবাবে মুম্বাই ২৪৭ রানে পৌঁছয় এবং ১০ রানে হেরে যায়।
দিল্লি ও মুম্বই এই মরশুমে দুবার একে অপরের মুখোমুখি হল। প্রথম সাক্ষাতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে ২৩৪ রান করে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ২৯ রানে পরাজিত করেছিল। এবার দিল্লি তাদের হোম গ্রাউন্ড অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে হিসেব মিটিয়ে দিল। প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি ২৫৭ রান তোলে, যা আইপিএলের ইতিহাসে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সর্বোচ্চ স্কোর ছিল।
Phew. 2️⃣ Points. Swaad Aa Gaya 💙❤️ pic.twitter.com/4sG1c95yNg
— Delhi Capitals (@DelhiCapitals) April 27, 2024
এই মরশুমে, দিল্লি যখন থেকে ২২ বছর বয়সী তরুণ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ককে মাঠে নামিয়েছে, তখন থেকে দলের ব্যাটিংয়ে নতুন প্রাণ পেয়েছে। ম্যাকগার্ক, যিনি প্রথম বল থেকেই পুরো শক্তি দিয়ে আক্রমণ করছিলেন এবং প্রথম ওভারে ১৯ রান দেন। ম্যাকগার্কের বড় সাফল্য আসে দ্বিতীয় ওভারে, যখন তিনি জসপ্রিত বুমরার প্রথম বলে একটি ছক্কা এবং পরের বলে একটি বাউন্ডারি মারেন। ওই ওভার থেকে আসে ১৮ রান। মাত্র ১৫ বলে অর্ধশতরান করেন ম্যাকগার্ক। এই মরশুমে দ্বিতীয়বার ম্যাকগার্ক ১৫ বলে অর্ধশতরান করলেন।
ম্যাকগার্কের ব্যাটিংয়ের প্রভাব দিল্লির স্কোরের উপর দেখা যায় এবং পাওয়ারপ্লেতেই ৯২ রান তুলে নেয়। ৮ম ওভারে ম্যাকগার্কের আক্রমণ থামলেও ততক্ষণে দিল্লি ১১৪ রান করে ফেলেছিল। ম্যাকগার্ক মাত্র ২৭ বলে ১১টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৮৪ রান করেন। হোপ মাত্র ১৭ বলে ৫টি ছক্কায় ৪১ রান করেন। ঋষভ পন্থ এবার খুব দ্রুত ফিরে যান। বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। কিন্তু ট্রিস্টান স্টাবস তাঁর জাদু অব্যাহত রেখে মাত্র ২৫ বলে অপরাজিত ৪৮ রান করে দলকে ২৫৭ রানে নিয়ে যান।
মুম্বাইর হয়ে চলতি আসরে ওপেনিং জুটি রোহিত শর্মা এবং ইশান কিষাণ শুরুটা ভালই করছিলেন। কিন্তু আজ তাদের কাছে থেকে সেই পারফর্ম পাওয়া যায় নি। পাওয়ার প্লেতে বড় ভূমিকায় দেখা গেল না তাদের। সূর্যকুমার যাদব ক্রিজে এসেই কিছু বড় শট খেলেন ঠিকই, কিন্তু বেশি সময় টিকতে পারেন নি। এই মরসুমে আবারও তিনি দলের হয়ে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হলেন। খলিল আহমেদ (২/৪৫) রোহিত ও সূর্যকে আউট করেন এবং মুকেশ কুমার (৩/৫৯) ঈষানকে।
এই সিজেনে মুম্বাইর অধিনায়ক হার্দিককে প্রতি ম্যাচেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হতে দেখে গিয়েছে। আজ তিনি ক্রিজে নেমেই চালিয়ে খেলতে শুরু করেন। তাতে দলের স্কোরে কিছুটা গতি আসে। কিন্তু ৪৬ রানে তিনিও ফিরে যান। তরুণ পেসার রশিখ সালামের (৩/৩৪) উইকেট পাওয়ার আগে তিনি তিলক ভার্মার (৬২) সাথে ৭১ রানের জুটি গড়েন। একই ওভারে নেহাল ওয়াধেরাকেও আউট করেন সলাম। এরপর টিম ডেভিড (৩৭) ও তিলক ভার্মা আউট হয়ে বাউন্ডারি মারতে শুরু করেন। এই জুটি ৭০ রান যোগ করলেও মুকেশ তাদের ফিরিয়ে দেন। শেষ ওভারে মুম্বইয়ের ২৫ রানের প্রয়োজন ছিল কিন্তু প্রথম বলে তিলক ভার্মা রান আউট হয়ে যান এবং মুম্বইয়ের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়।