হাত-পা বাঁধা (Sandeshkhali)। কোমরে বাঁধা ইঁট (Sandeshkhali)। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পুকুর থেকে উদ্ধার আদিবাসী যুবতীর দেহ। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ন্যাজাট থানার ঘোষপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। আদিবাসী তরুণীর পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে (Sandeshkhali)। কিন্তু ওই আদিবাসী তরুণীকে (Sandeshkhali) কে বা কারা খুন করেছে, সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ৪ ডিসেম্বর থেকে ওই তরুণীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের তরফে ন্যাজোট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। আশেপাশের এলাকাতে, পরিবার পরিজন ও বন্ধুদের বাড়িতে খোঁজ চালানো হয়, কিন্তু তরুণীর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। শনিবার ভোরে একটি পুকুর থেকে ওই আদিবাসী তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়। এই খবর চাউর হতেই সন্দেশখালি এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়াতে শুরু করে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে এটা খুনের ঘটনা। কেউ বা কারা তাঁর হাত-পা বেঁধে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু তার আগে তরুণী ওপর শারীরিক অত্যাচার বা যৌন হেনস্তা করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুন করে জলে ফেলা হয়েছিল নাকি জীবন্ত অবস্থায় তরুণীর হাত পা বেঁধে জলে ফেলা হয়েছিল, সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ন্যাজট থানার পুলিশ।পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তরুণীর সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই এই বিষয়ে তরুণীর পরিবারের তরফে কোনও মন্তব্য প্রকাশ করা হয়নি। গোটা এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া।