ঠাকুরপুকুরের (Thakurpukur) ব্যস্ত রাস্তা। সেখানেই (Thakurpukur) রাস্তার ধারে নীল রঙের প্ল্যাস্টিকে মোড়া কিছু রয়েছে। নীল রঙের প্লাস্টিকে কিছু মোড়া থাকতে দেখেই এলারাবাসীদের সন্দেহ হয়। খবর দেওয়া হয় ঠাকুরপুকুর (Thakurpukur) থানায়। (Thakurpukur) পুলিশ এসে প্ল্যাস্টিক খুলতেই আঁতকে ওঠেন এলাকাবাসী। রয়েছে মৃতদেহ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জোকার স্মাইল রোডের ধার থেকেই প্লাস্টিকে মোড়া পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান, প্লাস্টিকে মুড়িয়ে কিছু রাখা হয়। সেটা দেখেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। তাঁরা পুলিশে খবর দেয়। কেঘটনাস্থলে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ বিদ্যাসাগর হাসপাতালে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। এখনও পর্যন্ত মৃতদেহের পরিচয় জানা যায়নি। এলাকা সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা রোজই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। আজও যাচ্ছিলাম। দেখি অনেক ভিড় জমে রয়েছে। কী হয়েছে বুঝে ওঠার আগেই দেখলাম পুলিশ এসেছে। যে প্যাকেট পড়েছিল তার ভিতর দেহ শুনলাম একটা বডি মিলেছে।”
কিছুদিন আগেই ময়দানের সামনে রাস্তার পাশে এক নালা থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাতঃভ্রমনকারী প্রথমে এই দেহ দেখতে পান। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়, ওই যুবককে হত্যা করা হয়েছে। যুবককে রাতে বা ভোর রাতে হত্যা করা হয়। তার কিছু দিন পরেই রুবির কাছে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহের থেকে একটু দূরে একটা স্কুটার পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে আন্দাদ করা হয়, সামনের গর্তে স্কুটারটি পড়ে যাওয়ার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন যুবক। স্কুটারটি ডিভাইডারে গিয়ে ধাক্কা মারে। যুবকটি ছিটকে অন্যত্র পড়ে যান। আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। মাঝে মাঝেই শহরের বিভিন্ন রাস্তা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার নিয়ে ইতিমধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।