কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে ‘অধিনায়ক’-‘সর্বাধিনায়িকা’ বিতর্ক এখনও বর্তমান। এই বিতর্কের মাঝে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের শরীরে চতুর্থ রক্তকণিকার আবিষ্কার করলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের শরীরে লোহিত কণিকা, শ্বেত কণিকা, অণুচক্রিকার পাশাপাশি চতুর্থ রক্তকণিকাটির নাম ‘মমতা কণিকা’। ‘অধিনায়ক’ বিতর্ক প্রসঙ্গে দেবাংশু (Debanshu Bhattacharya) বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের তিনটে রক্ত কণিকা-লোহিত কণিকা, অণুচক্রিকা, শ্বেত কণিকা, তারপর চতুর্থ কোনও রক্তকণিকা পাওয়া যায়, তার নাম মমতা-কণিকা। এটা আমাদের শরীরে রয়েছে। এই দুজনের বাইরে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা কিছু ভাবতে পারেন না। এখানে বিতর্কের কোনও জায়গা নেই।”
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সমর্থক গোষ্ঠী ‘ফ্যাম’-এর পক্ষ থেকে দক্ষিণ কলকাতায় লাগানো হলুদ পতাকায় লেখা ছিল ‘অধিনায়ক অভিষেক’। এরপরই রাতারাতি সেই পতাকার পাশেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সম্বলিত হোর্ডিং ঝোলায় ‘ফ্যাম’। সেখানে লেখা ছিল ‘সর্বাধিনায়িকা জয় হে।’ আর এই ঘটনাকে ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের সূত্রপাত।
তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের সংগঠন ‘ফ্যাম’ ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে সমাজমাধ্যমে প্রচারের রূপরেখা নির্ধারণের জন্য একটি বৈঠক করে। এই বৈঠকের আগেই যে হোর্ডিং টাঙানো হয়, তা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের পাশাপাশি সর্বময় নেত্রী মমতার ছবিও সেখানে ছিল। এই প্রসঙ্গে দেবাংশু বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া কমিউনিটিগুলোকে যথেষ্ট সাপোর্ট করেন। আইটি সেলের ফরমেশন তাঁরই হাত ধরে।”