২০২৩ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রজনন হার ক্রমাগত হ্রাস (Declining Fertility Rates) পাচ্ছে। তথ্য অনুযায়ী, এখানে প্রজনন হার নারী প্রতি ০.৭২ শিশু পৌঁছেছে। এটি একটি গুরুতর সংকট। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতও প্রজনন হার হ্রাসের মুখোমুখি হচ্ছে। যদিও ভারতে প্রজনন হার হ্রাস দক্ষিণ কোরিয়ার তুলনায় ধীর, এটি দেশের জন্যও উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠছে।
যাইহোক, গত কয়েক বছর ধরে, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন এবং চন্দ্রবাবু নাইডু ক্রমাগত মানুষকে তিনটির বেশি সন্তান জন্ম দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে এখন বিষয়টি দেশের সবচেয়ে বড় আবশ্যকতা হতে চলেছে। বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে দেশে বৃদ্ধদের সংখ্যা যুবসমাজের চেয়ে বেশি হবে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠে, কেন মানুষ পরিবার পরিকল্পনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন না। আপনি এই পয়েন্টগুলিতে উত্তরটি খুঁজে পেতে পারেনঃ
মুল্যবৃদ্ধি
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, জীবনযাত্রার খরচ এবং চাকরির অনিশ্চয়তা পরিবারগুলির জন্য সন্তান লালন-পালনকে আর্থিকভাবে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। এমন পরিস্থিতিতে আজকের দিনে মানুষ একটির বেশি সন্তান হওয়ার (Declining Fertility Rates) কথা ভাবতে ভয় পান।
মহিলাদের পরিবর্তিত অগ্রাধিকার
প্রাচীনকালে, মহিলাদের ভূমিকা পরিবার প্রতিপালন ও পরিচালনার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মহিলারা নিজেদেরকে কেবল একজন মা হিসেবেই নয়, অর্থনৈতিকভাবেও একজন সফল নাগরিক হিসেবে দেখতে চান। এমন পরিস্থিতিতে যেহেতু মহিলারা চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন, শিক্ষা ও কর্মজীবনে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাই তাঁরা বিয়ে ও সন্তান জন্ম দেওয়ার (Declining Fertility Rates) প্রয়োজনীয়তা এড়িয়ে চলেছেন।
দেরিতে বিয়ে
মানুষ এখন বিয়ের ক্ষেত্রে বড্ড বিলম্বিত। অর্থাৎ বেশি বয়সে বিয়ে করছে নারী-পুরুষ। এর ফলে পরিবার পরিকল্পনাও বিলম্বিত হচ্ছে। পাশাপাশি, ছোট পরিবারের ক্রমবর্ধমান প্রবণতার কারণে, মানুষ আরও বেশি সন্তান নেওয়ার কথা চিন্তা করা এড়িয়ে চলে।
বন্ধ্যাত্ব
জীবনধারা, চাপ এবং পরিবেশগত কারণগুলির জন্য বন্ধ্যাত্বের ক্রমবর্ধমান ঘটনাগুলিও দেশের কম প্রজনন হারের (Declining Fertility Rates) জন্য দায়ী। সাথে, বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা এবং এর বিকল্পগুলিও ব্যয়বহুল, যা স্বাভাবিক আয়ের পরিবারের জন্য করা কঠিন।
ক্রমহ্রাসমান প্রজনন (Declining Fertility Rates) ভারতের জন্য একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়, কারণ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুবসমাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পরিস্থিতিতে এই পতন অব্যাহত থাকলে তা ভারতের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোকে প্রভাবিত করতে পারে।