ভারতের অন্যতম প্রাচীন শিল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম রঙ্গোলি। আর অন্যদিকে দীপাবলী (Deepavali) হল আলোর উৎসব। হিন্দুদের কাছে দীপাবলি (Deepavali) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দীপাবলি (Deepavali) বিভিন্নভাবে উদযাপিত করা হয়। দীপাবলির (Deepavali) সঙ্গে রঙ্গোলির গভীর যোগ রয়েছে।
রঙ্গোলি হল রঙিন চাল, শুষ্ক রঙিন বালি, ফুলের পাপড়ি ইত্যাদি উপকরণ ব্যবহার করে মেঝেতে একটি আল্পনা বা নকশা করা হয়। বিভিন্ন রঙের মাধ্যমে এই রঙ্গোলির শিল্পকলা ফুটিয়ে তোলা হয়। রঙ্গোলির সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতির গভীর যোগ রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় রঙ্গোলি সৌভাগ্যের প্রতীক। দীপাবলীর (Deepavali) সময় ভারত জুড়ে এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে যেখানে দীপাবলী উদযাপিত হয়, পরিবারগুলি তাদের বাড়ির প্রবেশদ্বার এবং বসার জায়গায় রঙ্গোলি তৈরি করে। উদ্দেশ্য হলো অতিথিদের স্বাগত জানানো। দেবী লক্ষীকে স্বাগত জানালে রঙ্গোলি তৈরি করা হয়।
রঙ্গোলির রীতি শতাব্দী আগে শুরু হয়েছিল বলে মনে করা হয় এবং সময়ের সাথে সাথে এটি দীপাবলী উদযাপনের একটি অপরিহার্য দিকে পরিণত হয়েছে। রঙ্গোলির নকশাগুলোর ক্রমাগত পরিবর্তন হয়েছে। ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। এই নকশাগুলি সহজ জ্যামিতিক আকৃতি এবং ফুলের নকশা থেকে শুরু করে দেবতাদের চিত্র এবং হিন্দু পুরাণের দৃশ্য পর্যন্ত তুলে ধরা হয়। রঙ্গোলি তৈরির প্রক্রিয়া একটি সাধারণ কাজ যা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সৃজনশীলতা এবং সহযোগিতাকে উৎসাহিত করে। দীপাবলীর উৎসবের আত্মার অবদান রাখে।
সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় গুরুত্ব ছাড়াও, রঙ্গোলি তৈরির প্রথাটি স্বাগত ও আতিথেয়তার প্রকাশ হিসাবেও দেখা হয়। এটি পরিবারের আনন্দ এবং উদারতার প্রতীক। বিদেশিদের সহ সবাইকে উৎসবে যোগদানের জন্য একটি খোলা আমন্ত্রণ প্রদান করে রঙ্গোলি। রঙ্গোলিতে ব্যবহার করা প্রতিটি রঙের আলাদা মানে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, লাল রঙকে শক্তির প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়, হলুদকে সাহসের প্রতীক বলে মনে করা হয় এবং সবুজ সামঞ্জস্যের প্রতীক। এই ঝলমলে রঙগুলি ব্যবহার কেবল পরিবেশকে সুন্দর করে তোলে না বরং দীপাবলীর থিমের সাথে সম্পর্কিত গভীর অর্থ প্রকাশ করে।