প্রনব বিশ্বাসঃ বড়সড় নাশকতার ছক ভেস্তে দিল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। নবরাত্রি, দিপাবল সহ আসন্ন উৎসবের মরসুমে ভারতের রাজধানী দিল্ল সহ একাধিক জায়গায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সগংঠিত করার আগেই পাকিস্তানের অর্থসহায়তায় পরিচালিক একটি সন্ত্রাসী মডিউলের পর্দা ফাঁস করেছে তারা। এই ঘটনায় ছয় জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ধৃত জঙ্গিদের মধ্যে ২ জন পাকিস্তান থেকে নাশকতার প্রশিক্ষণ নিয়েছিল বলেও জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা।
সন্ত্রাসী মডিউলের পর্দা ফাঁস করতে মুম্বাই, দিল্লি, লখনউ, প্রয়াগরাজ, রায় বেরিলিতে অভিযান চালায় তদন্তকারী কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের বিশেষ পুলিশ কমিশনার নীরজ ঠাকুর একথা জানিয়ে বলেন ‘আটককৃত জঙ্গিরা হল জান মহম্মদ শেখ, ওসামা সামি, মুলচাঁদ ওরফে লালা, জিশান কামার, মহম্মদ আমির জাভেদ, ওসামা এবং জিশান। এদের মধ্যে ওসামা ও জিশান- উভয়েই পাকিস্তানে গিয়ে বিস্ফোরক তৈরি এবং একে-৪৭ সহ অন্য আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে।’
ধৃত জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই মডিউলের কাজ ছিল নবরাত্রি ও রামলীলার সময় দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশে নাশকতা সংগঠিত করা। আগামী বছরেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভার নির্বাচন, সেক্ষেত্রে বড় কোন নির্বাচনী প্রচারণাকালীন সময়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ওপরও ওই হামলার আশঙ্কা ছিল।
নীরজ ঠাকুর আরও জানান, ‘জেরায় সন্ত্রাসীরা জানিয়েছে তাদের দলে ১৪ থেকে ১৫ জন বাংলাভাষীও রয়েছে। তারাও পাকিস্তান থেকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকতে পারে। ওই জঙ্গি দলের সদস্যরা মোট দু’টি দলে বিভক্ত হয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে ছিল। একটি দল দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনস ইব্রাহিমের সংস্পর্শে ছিল। মূলত সীমান্ত দিয়ে ভারতে অস্ত্র ঢোকানোর কাজ করতো ওই দলটি। অন্য দলটি হাওয়ালার মাধ্যমে রুপি জোগাড় করতো।’