নিজস্ব প্রতিনিধি, দিঘাঃ এই মুহূর্তে দিঘা (Digha) থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। গতিবেগ বাড়লেও গতিপথ একই রয়েছে ইয়াস-এর।ভোর ৫ টায় বের হওয়া মৌসম ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, দিঘা থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ইয়াস।কমতে শুরু করেছে দূরত্ব। অর্থাৎ এগোতে শুরু করেছে ইয়াস (Cyclone Yaas)।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই সৈকত নগরীর বিভিন্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলে চলছে প্রবল বেগে জলোচ্ছ্বাস। ইয়াস(Cyclone Yaas) ল্যান্ডফলের পর আরও বেশি উত্তাল হবে সমুদ্র। ঢেউয়ের উচ্চতা থাকবে ২-৪ মিটার।সেরকম হলে কখনও ৫ মিটার পর্যন্তও হতে পারে ঢেউয়ের উচ্চতা। ভরা কোটালের জেরে শঙ্করপুর লাগোয়া জামড়া, চাঁদপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যে সমুদ্রের জল ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে। প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা বেশ কয়েকটি গ্রাম। সঙ্গে রয়েছে পূর্ণিমার ভরা কোটাল। ফলে সমুদ্র আরও বেশি উত্তাল হয়েছে।
সোমবার থেকেই চারটি মহকুমায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলি অর্থাৎ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে মৌসম ভবন জানিয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন পূর্ণিমায় আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ফলে ভরা কোটালে দুশ্চিন্তাও রয়েছে উপকূলে।বুধবার বিকাল ৩.১৫ মিনিটে ভাটা রয়েছে। তবে ইয়াস যদি বিকালে ল্যান্ডফল করে, তাহলে কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তা কম। ইয়াস- এর ল্যান্ডফলের সময় অনেকটা এগিয়ে এলে বিপদ কম কারণ, সকাল ৯.১৫ মিনিট ও রাত ৯.৩০ মিনিটে ভরা কোটাল রয়েছে।আর যদি ল্যান্ডফলের সময় অনেকটা পিছিয়ে যায় তাহলে বিপদ বেশি।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, পূর্ব মেদিনীপুরে এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার। ইতি মধ্যেই লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে।স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে এলাকায় চলছে মাইকিং। ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে দিঘা- শঙ্করপুর উপকূলীয় এলাকা।
ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে যে কোনও বিপদে পড়লে নবান্নের তরফে প্রকাশ করা ১০৭০ এবং ০৩৩-২২১৪৩৫২৬ এই নম্বরগুলিতে ফোন করুন ।