বার বার আন্তর্জাতিক মহলের সতর্কতা পাওয়ার পরেও বাংলাদেশের সুবুদ্ধি আসছে না (Bangladesh)। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার ক্রমেই বেড়ে চলেছে (Bangladesh)। তার সঙ্গে বাংলাদেশের (Bangladesh) বিনএনপি নেতাদের ভারত বিরোধী মন্তব্য বাড়তে শুরু করেছে। পাল্টা সতর্ক বার্তা ভারতের তরফে পাঠানো হলেও সেভাবে তা কাজে আসছে না। এই পরিস্থিতিতে (Bangladesh) পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ক্রমাগত আক্রমণত্মাক বার্তা দিয়েই চলেছেন। এবার আসরে নামলেন (Bangladesh) বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
আগেই শুভেন্দু অধিকারী উত্তর ২৪ পরগনার বাংলাদেশের দুই সীমান্তে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। বাংলাদেশের কট্টরপন্থী মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার বাহাদুর গ্রামপঞ্চায়েতের ভাট পাড়া সীমান্তে অনুগামীদের নিয়ে মিছিল করতে দেখা গেল বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে। এদিন দিলীপ ঘোষ ছাড়াও বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কট্টরপন্থী মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার বাহাদুর গ্রামপঞ্চায়েতের ভাট পাড়া সীমান্তে অনুগামীদের নিয়ে মিছিল করতে দেখা গেল বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে। সাধারণ অনেক গ্রামবাসীকে এই মিছিলে পা মেলাতে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।
বার বার বিএনপি নেতারা ভারত বিরোধী আক্রমণ করেছেন। বিএনপি নেতা থেকে প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরা কলকাতা থেকে সেভেন সিস্টার্স দখলের ডাক দিয়েছেন। ভারতের মানচিত্রকে পাল্টে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এক বিএনপি নেতা ভারতের তৈরি শাড়ি পুড়িয়ে ভারতীয় পণ্য বিসর্জনের ডাক দিয়েছিলেন। অন্য এক বিএমপি নেতা শাড়ি পরে ভারতের তৈরি বিছানার চাদর পুড়িয়ে ডাক দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, ভারত দখলের জন্য সমস্ত ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে।
সীমান্তে এই ঘটনার জেরে অবৈধ অনুপ্রবেশ বাড়তে পারে। ঘটনার জন্য সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও মজবুত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভারতে অশান্তি ছড়ানোর জন্য দুই জঙ্গি ভারতে প্রবেশ করেছিল বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে। তারপর থেকে সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও মজবুত করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভারতের বৈধ ভিসা নিয়ে ওপারের সংখ্যালঘুরা ক্রমাগত ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করছেন।