ঝাড়গ্রামের পর এবার আসানসোলে চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যু (Doctor Death)। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের চেম্বার থেকেই তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার (Doctor Death) করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে রানিগঞ্জের রনাই অঞ্চলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ (Doctor Death) উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে মৃত চিকিৎসকের (Doctor Death) নাম লালমোহন খাঁ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনই চেম্বার খুলতেন এই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকেই তাঁর চেম্বার বন্ধ ছিল। আশেপাশের দোকানিরা বন্ধ দরজার নীচ থেকে রক্ত বের হতে দেখেন। ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পুলিশে খবর দেন। খবর দেওয়া হয় চিকিৎসকের বাড়িতেও।
চেম্বার শার্টার খুলে চমকে ওঠে পুলিশ। প্রতিবেশী দোকানিরাও চমকে ওঠেন। বন্ধ চেম্বারের সিলিং থেকে ঝুলছে চিকিৎসকের দেহ। ততক্ষণে চিকিৎসকের নিথর দেহে পচন ধরতে শুরু করেছে। রানিগঞ্জ থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ আত্মহত্যা বলে মনে করছে। পুলিশ সূত্রের খবর গত পাঁচ-ছয় দিন ধরে চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর বিবাদ চলছিল। স্ত্রী আইসিডিএস কর্মী। ঝগড়ার পর গত চার-পাঁচদিন ধরে চিকিৎসক বাড়ি ফেরেননি। অন্যদিকে, তাঁর স্ত্রী স্বামীর কোনও খোঁজ করেননি। এমনকী পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরিও করেননি। রহস্য মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের স্ত্রীকে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিশের অনুমান কয়েকদিন আগেই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। সেখান থেকেই তাঁর শরীরে পচন ধরে গেছে। পচন থেকেই রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।
অন্যদিকে, ঝাড়গ্রাম লজে এক চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর মৃত্যুতে রহস্য ক্রমেই বাড়ছে। ওই চিকিৎসক দেড় বছর আগে আরজি করে ছিলেন। বর্তমানে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে, কিছু বাইরে থেকে ইনজেক্ট করা হয়েছে। যার জেরে মাল্টি অর্গান ফেল করে চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কী ইনজেক্ট করা হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের সম্পূর্ণ রিপোর্ট আসার পরেই জানা যাবে।