জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) দ্বিতীয় দফায় ফের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। মঙ্গলবার থেকে সেই কর্মবিরতি জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) শুরু করেছেন। কিন্তু আগের বারের কর্মবিরতিকে যেভাবে সিনিয়র চিকিৎসকরা সমর্থন করছিলেন, দ্বিতীয় দফার কর্মবিরতিকে সিনিয়র চিকিৎসকরা করছেন না। তাঁদের মত, জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) কাজের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ, আন্দোলন করে যেতে হবে।
চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমরা সিনিয়র চিকিৎসকরা যেমন কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার আন্দোলনে আছি। জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors) পরামর্শ দিচ্ছি, কর্মবিরতি ওঁরা একটা পর্যায় করেছেন। সেই সময় সিনিয়র চিকিৎসকরা সেটার ঘাটতি পূরণ করার জন্য বাড়তি কাজ করেছেন। রাজ্যের গরিব মানুষ সরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। সরকার কৌশল নিচ্ছে জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে রাজ্যের গরিব মানুষকে ক্ষেপিয়ে দেওয়া। সেই সময় আমাদেরও একটু কৌশল করা দরকার যে, কর্মবিরতির মতো পদক্ষেপ না করে, কাজ করে কীভাবে রাস্তার আন্দোলনকে তীব্রতর করা যায়।”
আরজি করের প্রাক্তনী চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমাদের অনুরোধ তাঁদের কাছে যে রোগীর কথা বিবেচনা করে তাঁরা তাঁদের কাজে ফেরার কথা আরেকবার পুনর্বিবেচনা করুক।” এই পরিস্থিতিতে সিনিয়র চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা ফিরে আসবেন কি না, সেটাই এখন দেখার।তবে প্রথম পর্যায় কর্মবিরতির পর জুনিয়র চিকিৎসকরা ধীরে ধীরে কাজে যোগ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে নতুন করে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে রোগীর পরিবার জুনিয়র চিকিৎসকদের ওপর হামলা করে। ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান জুনিয়র চিকিৎসকরা। তারমধ্যে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেও জুনিয়র চিকিৎসকদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে রোগীর পরিবার। তারপরে ফের জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ঘোষণা করে।
প্রসঙ্গত, জুনিয়র চিকিৎসকরা মহালয়ায় মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন। কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছেন। আজকে চিকিৎসকদের ডাকে কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন অবধি মিছিল হয়। সেখানে চিকিৎসকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যোগ দেন।