Earthquake: মায়ানমার, থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পে ধ্বংসযজ্ঞের পর সাহায্যের হাত বাড়াল ভারত

মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পের (Earthquake) ফলে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়, মানুষের মধ্যে ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। রিখটার স্কেলে ৭.৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পে ভবনগুলো কেঁপে ওঠে, রাস্তায় ফাটল দেখা দেয় এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। এই সংকটের মুহূর্তে, ভারত তাৎক্ষণিকভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শোক প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে ভারত সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত। তিনি কর্মকর্তাদের ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য সজাগ থাকার নির্দেশ দেন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সাহায্য পেতে পারেন এবং জীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি কমানো যায়।

ভূমিকম্পে মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডে ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earthquake) অনেক শহরে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৭.৭, যা অত্যন্ত মারাত্মক ছিল। ভূমিকম্পের কারণে থাইল্যান্ডের অনেক এলাকায় ভবন কাঁপতে শুরু করে এবং রাস্তায় ফাটল দেখা দেয়। এর গভীর প্রভাব মায়ানমারেও অনুভূত হয়েছিল যেখানে অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, ভারত তাৎক্ষণিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাহায্যের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ জারি করেছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কী বললেন?

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে (Earthquake) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি সকলের নিরাপত্তা এবং মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করি। ভারত সম্ভাব্য সকল সাহায্য প্রদান করবে।” প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতীয় সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন যাতে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক ত্রাণ সরবরাহ করা যায়। এছাড়াও, প্রয়োজনে সহায়তা প্রদানের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রক (MEA) মায়ানমার এবং থাইল্যান্ড সরকারের সাথে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় যে ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলিকে সাহায্য করতে সর্বদা প্রস্তুত।

ভূমিকম্পের সময় এবং ক্ষয়ক্ষতির তথ্য

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (USGS) অনুসারে, মায়ানমারে প্রথম ভূমিকম্পটি (Earthquake) দুপুর ১২:৫০ মিনিটে আঘাত হানে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইং শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। ১২ মিনিট পর, দ্বিতীয় ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ৬.৪ এবং এর কেন্দ্রস্থল ছিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে। এই ভূমিকম্পের (Earthquake) কারণে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তবে হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। ত্রাণ দল উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

ভারতের সাহায্য এবং মানবিক প্রচেষ্টা

এই জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক সাহায্য প্রদানের প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নির্দেশে, বিদেশ মন্ত্রক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য মায়ানমার এবং থাইল্যান্ড সরকারের সাথে নিরন্তর যোগাযোগ রাখছে। ভারতের এই পদক্ষেপ দেখায় যে সঙ্কটের সময়ে তারা তার প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। এই ধরনের দুর্যোগে, দেশগুলির একসাথে কাজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারত সর্বদা অভাবীদের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত, তা সে তার নিজের দেশে হোক বা বিশ্বের অন্য যেকোনো প্রান্তে।