বৃহস্পতিবার সকালে দেশের রাজধানী দিল্লি এবং এর আশেপাশের এলাকায় ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হয়, যার ফলে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভারতীয় সময় অনুসারে, সকাল ০৯:০৪:৫০ মিনিটে আসা এই ভূমিকম্পগুলির তীব্রতা রিখটার স্কেলে ৪.৪ পরিমাপ করা হয়েছিল।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) অনুসারে, ভূমিকম্পের (Earthquake) কেন্দ্রস্থল ছিল হরিয়ানার ঝাজ্জরে ২৮.৬৩ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭৬.৬৮ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে, যার গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। দিল্লি ছাড়াও, নয়ডা, গাজিয়াবাদ এবং হরিয়ানার আরও অনেক শহরেও ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে।
কোনও জীবন বা সম্পত্তির ক্ষতি হয়নি
এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি বা বড় ক্ষয়ক্ষতির কোনও সরকারি খবর নেই। দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলটি ভূমিকম্পের (Earthquake) দিক থেকে সংবেদনশীল অঞ্চলে পড়ে। এখানে প্রায়শই হালকা থেকে মাঝারি তীব্রতার ভূমিকম্প হয়। ভূতাত্ত্বিকরা এই অঞ্চলে সংঘটিত ভূমিকম্পের কার্যকলাপের উপর ক্রমাগত নজর রাখেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই ধরনের হালকা থেকে মাঝারি তীব্রতার কম্পন ধীরে ধীরে পৃথিবীর ভিতরে সঞ্চিত শক্তি ছেড়ে দেয়, যা ভবিষ্যতে বড় এবং ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পের ঝুঁকি কিছুটা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আসামে ভূমিকম্প
মঙ্গলবার এর আগে আসাম রাজ্যে ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে আসামের কার্বি আংলং জেলায় ৪.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। এতে কোনও প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকাল ৯:২২ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয়েছিল, যার গভীরতা ছিল ২৫ কিলোমিটার। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ২৬.৫১° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯৩.১৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। সোমবার আন্দামান সাগরে ৪.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল, যার গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। রবিবার একই এলাকায় একই তীব্রতা এবং গভীরতার আরেকটি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে।