কোটি কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ (ED arrested)। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে মঙ্গলবার ইডি আট জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় (ED arrested)। এরপরেই মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ইডি (ED arrested)। ব্যাঙ্ক প্রতারণায় একাধিক ব্যবসায়ীর (ED arrested)। তার মধ্যে এক ব্যবসায়ীকে ইডি গ্রেফতার (ED arrested)করে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২৭টি ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থাকে ঠকিয়েছে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। সেই তালিকায় স্টেট ব্যাঙ্কও রয়েছে। প্রায় ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ধৃতদের বুধবার আদালতে পেশ করা হবে। ধৃত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে সিবিআইও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে এসবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে। এই ব্যবসায়ী বর্তমানে একাধিক কোম্পানির ডিরেক্টর ও অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। বিপুল পরিমাণে টাকা ব্যাঙ্ক থেকে নিয়ে সেই ব্যাঙ্কের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর নামে। ইডির আধিকারিকদের অনুমান, বিপুল পরিমাণে টাকা বিদেশে পাচার হয়ে থাকতে পারে। এই টাকা দিয়ে অভিযুক্ত কী করতেন, কোথায় এই টাকা বিনিয়োগ হয়েছিল সবটাই খতিয়ে দেখতে চাইছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কালে ইডির আধিকারিকরা দমদম ক্যান্টনমেন্টে ৪৯, এস. পি. মুখার্জি রোডে সঞ্জয় গুপ্তা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালানো শুরু করেন। যদিও ওই ব্যবসায়ী বাড়িতে নেই। তাঁর জন্য ইডির আধিকারিকরা বর্তমানে বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে লোন নেওয়ার পরে আর্থিক প্রতারণার মামলায় নাম উঠে এসেছে সঞ্জয় গুপ্তার। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যক্তিগত কারণে সঞ্জয় বাড়ির বাইরে রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সঞ্জয় গুপ্তা নামের ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ইডি।
এছাড়াও হুগলির বৈদ্যবাটি চ্যাটার্জি পাড়ায় একটি বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারি একটি দল। মঙ্গলবার সকালেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে বৈদ্যবাটির একটি বাড়িতে প্রবেশ করেন ইডির চার আধিকারিক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িটি শান্তনু পোদ্দার নামের এক ব্যক্তির। কলকাতার ধর্মতলায় লোহার যন্ত্রাংশ সরবরাহকারি একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করেন। তবে ইডি এর আগেও তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।