মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ইডির হানা (ED Raid) শুরু হয়েছে। কলকাতার দমদম, গিরিশ ঘোষ রোডে অভিযান চালায় ইডি (ED Raid)। পাশাপাশি একাধিক জেলায় ইডির আধিকারিকরা (ED Raid) তল্লাশি চালায় বলে জানা গিয়েছে। শুধু কলকাতাতেই চার জায়গায় ইডি (ED Raid) তল্লাশি চালিয়েছে। হুগলির বৈদ্যবাটি চ্যাটার্জি পাড়ায় একটি বাড়িতে হা (ED Raid) না দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারি একটি দল। বেলুড়েও একটি বাড়িতে ইডির আধিকারিকরা (ED Raid) তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার কালে ইডির আধিকারিকরা দমদম ক্যান্টনমেন্টে ৪৯, এস. পি. মুখার্জি রোডে সঞ্জয় গুপ্তা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালানো শুরু করেন। যদিও ওই ব্যবসায়ী বাড়িতে নেই। তাঁর জন্য ইডির আধিকারিকরা বর্তমানে বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে লোন নেওয়ার পরে আর্থিক প্রতারণার মামলায় নাম উঠে এসেছে সঞ্জয় গুপ্তার। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যক্তিগত কারণে শান্তনু বাড়ির বাইরে রয়েছে।
হুগলির বৈদ্যবাটি চ্যাটার্জি পাড়ায় একটি বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারি একটি দল। মঙ্গলবার সকালেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে বৈদ্যবাটির একটি বাড়িতে প্রবেশ করেন ইডির চার আধিকারিক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িটি শান্তনু পোদ্দার নামের এক ব্যক্তির। কলকাতার ধর্মতলায় লোহার যন্ত্রাংশ সরবরাহকারি একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করেন। তবে ইডি এর আগেও তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে, এদিকে বেলুড় এলাকার গিরিশ ঘোষ রোডে আজ সকালে ইডি হানা দেয়। ৯০ নম্বর গিরিশ ঘোষ রোডে রানী রাসমণি অ্যাপার্টমেন্টে কৈলাস শরাফ নামে এক ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালায় ইডি। আসানসোলের কয়লা ব্যবসায়ী সঞ্জয় সুরেখার সহযোগী হিসেবে কৈলাস শরাফ কাজ করতেন। সকালে তাঁর ফ্ল্যাট বাড়িতে হানা দেওয়ার পর আবাসনে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
বেলুড়ের আরও এক জায়গা ভোটবাগান এলাকাতেও ৪০ নম্বর জালিগেট পাড়ায় ইশান প্লাস্টিক নামের একটি কারখানাতেও একইভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালায় ইডি অফিসাররা। তিন–চারজন ইডির অফিসার তল্লাশি চালান। ঘরের ভিতর কোনও আবাসিককেই ঢুকতে দেওয়া হয় না। কৈলাস শরাফ কয়লার ব্যবসায়ী।