প্রায় সাত ঘণ্টা বাড়ি তল্লাশির পর প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে আটক করেছে ইডি (ED Raid)। সংবাদ সংস্থা সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। আরজি কর কাণ্ডে বার বার প্রসূনের নাম উঠে আসছিল। শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামে প্রসূনের বাড়িতে যান ইডির বেশ কয়েক জন আধিকারিক। তারপর থেকে ইডি টানা তল্লাশি (ED Raid) চলায়। দুপুর দুটোর সময় প্রসূনকে আটক করে ইডি। প্রসূনের বাড়ির সামনে স্থানীয় বাসিন্দারা ইউ ওয়ান্ট জাস্টিস বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসূনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ক্যানিংয়ে সন্দীপ ঘোষের বাংলোতে। প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের হাতে সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁর ক্যানিংয়ে বাংলোর কথা জানতে পারা গিয়েছিল। কয়েক শো বিঘা ফাঁকা জমির ওপর এই বাংলোটি। এই বাংলোটি প্রায় দুই বিঘা জমির ওপর তৈরি হয়েছিল। প্রসঙ্গত, সন্দীপ ঘোষের স্ত্রীর নাম সঙ্গীতা। দুই জনের নামেই এই বিশাল বাংলো বাড়ির নামকরণ করা হয়েছে। কয়েক শো বিঘা জমির ওপর এই বাংলোর পাশাপাশি রয়েছে খামারবাড়ি।খামারবাড়ি তৈরি করেছেন স্থানীয় কয়েক জন যুবক। তবে সেই খামারবাড়ি পরিচালনা করতেন স্বয়ং সন্দীপ ঘোষ। এমনটাই জানাচ্ছেন স্থানীয় যুবকরা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “কয়েকবছর আগে এই বাংলোটি তৈরি হয়। এই বাংলোটি সন্দীপ ঘোষের। শুনেছি তিনি আরজি কর হাসপাতালের প্রিন্সিপাল।”
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে প্রসূন চট্টোপাধ্যায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রির কাজ করতেন। তিনি সন্দীপ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আরজি কর কাণ্ডে ঘটনার দিনের সেমিনার হলের সামনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে প্রসূনকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে বহু মানুষের ভিড়ে প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। আরজি কর মেডিক্যালের আউটপোস্টের ওসি সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়কেও ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করা হয়।
অন্যদিকে শুক্রবার ইডি সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান (ED Raid) চালায়। ইডি সন্দীপ ঘোষের বেলাঘাটার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালান। সেখানে ইডি গেটের বাইরে প্রায় তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তারপর সন্দীপ ঘোষের বাড়ির দরজা খোলা হয়। অন্যদিকে, সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়ি চন্দননগরের পাদ্রিপাড়ার বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি।